ঈশ্বর ঘুমিয়ে পড়েছেন
চাঁদের আলোও অস্থির
বিপন্নতার নদীর জলে আমি এক গিটার
ঈশ্বরকে ঘুম পাড়িয়ে রাখবো ঝঙ্কারে
মধুরিমা আজ এলোচুলে আবহসঙ্গীত
মুখ গুঁজেছে জোড়া হাঁটুতে।
ঈশ্বর ঘুমিয়ে পড়লে এখন আমরা চুপিচুপি
নদীর কাছেই আসি
ঈশ্বরকে গভীর ঘুম পাড়ানোর তোড়জোড়
তারপর সামাজিক দূরত্ব রেখে
কিছু আমাদের অসামাজিক কথাবার্তা চলে
মধুরিমা বলে-
ঈশ্বর নাকি ঘুমিয়েও সব কিছু শোনেন
ওটা নাকি ওনার ভাণ।
বিপন্নতার নদীর পাড়ে কালো অন্ধকার
আমার দস্তানা পড়া হাত আর মুখোশমুখ
ধীরে ধীরে সামাজিক দূরত্ব মুছে নেমে আসে
মধুরিমার মুখের কাছে
মধুরিমা সন্ত্রস্ত ঠেলছে এই কালোসময়
এই অবসরে জেগে উঠেছেন আমাদের ঈশ্বর।
বিপন্নতার কালো একটু একটু কাটছে
টুকরো আলোয় আকাশ সোনালী হবে তাই
ঈশ্বর নিজেই তুলে নিয়েছেন আমাদের গিটার
ঝঙ্কারে ঝঙ্কারে ভরিয়ে তুলছেন চারিদিক
ঈশ্বর হাসছেন আবার।