মধূছন্দা এক্টু বেসামাল হয়ে পরল ,চোখের চশমাটা খুলে পরিস্কার করে নিল। ওর চোখ টা কি ঠিক দেখছে! তখন মধুছন্দা স্টেশনে দাঁড়িয়ে ট্রেন ধরবে বলে। ওর কিছুটা দূরে যে মানুষটি দাঁড়িয়ে সেটা কি সেই মানুষ? যে তার জীবনের দশটা বছর নষ্ট করে নিরুদ্দেশ হয়েছিল। সে তো আস্তে আস্তে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসেছিল। কিন্তু কেন আজ মনে হচ্ছে ঐ মানুষটিই সেই মানুষ। মধুছন্দা তখন উদ্ভ্রান্তের
মত এগিয়ে গিয়ে নিজেকে উজার করে দিয়েছিল।মানুষটি অনেক স্বপ্ন দেখিয়ে বলেছিল আমি তোমার পেছনের ছায়া, এগিয়ে যাও।তোমার প্রতিটা কাজেই সাথে আছি। ভবিষ্যতের স্বপ্ন সফল করব এই আমি। সেদিন মধুছন্দা অন্ধ হয়ে গিয়েছিল কোন কিছুই মানেনি।মধুছন্দার মনে হচ্ছে স্টেশনের মধ্যে চিৎকার করে বলে উঠবে দীপুদা দীপুদা তুমি কি সেই দীপুদা? কোথায় ছিলে এতোদিন এতো বছর পর কোথা থেকে এলে।
মধুছন্দা এগিয়ে গিয়েও আবার ফিরে এসেছে। নিজের প্রতি ঘৃণা এসেছে। নিজেকেই নিজে প্রশ্ন করছে, আমিতো নিজেই এগিয়ে গিয়েছিলাম, লোভ লালসা গ্রাস করেছিল সেদিন আমার নিজের মধ্যে। নিজেকে সংযতো করতে পরিনি বলেই বার বার ভাবতে হচ্ছে আজ!
মধুছন্দা এবার এক্টু শান্ত হলো। ধীরস্থির ভাবে চিন্তা করলো সে কেন এতো অস্থির হয়ে গিয়েছিল স্টেশনে। এষা কে সেই তো এতো দিন ধরে মানুষ করে বড় করে তুলেছে। সবাই আজ জেনেই গেছে এষা সিঙ্গেল মাদারের মেয়ে!আজ আমি কেন এতো ভাবছি?