“আমি ও রবীন্দ্রনাথ” বিশেষ সংখ্যায় সঞ্জয় গুহ ঠাকুরতা
by
·
Published
· Updated
মাধুকরী
এই যে প্রতিদিন আয়নার সামনে দাঁড়াতেই নিজেকে ঝেড়ে মুছে অমিত হয়ে যাই,
এই তো এবার দার্জিলিং যাবার আয়োজন করতেই
পাশ থেকে অমিত অবাক করে বলে উঠল,”তোমাকে সঞ্জয় সেই কবে বলেছি,
“না হাঁটা পথে হাঁটতে” কিন্তু তুমি সেই আবার….”
সম্বিত ফিরে পেয়ে নির্জন অজানা নদীর ধারে অচেনা
পাহাড়ের গায়ে ডুবে থাকতে থাকতে বলে উঠেছি,
“অবেলায় যদি এসেছ আমার বনে দিনের বিদায়ক্ষণে
গেয়ো না, গেয়ো না চঞ্চল গান ক্লান্ত এ সমীরণে॥
ঘন বকুলের ম্লান বীথিকায়
শীর্ণ যে ফুল ঝ’রে ঝ’রে যায়
তাই দিয়ে হার কেন গাঁথো হায়, লাজ বাসি তায় মনে।
চেয়ো না, চেয়ো না মোর দীনতায় হেলায় নয়নকোণে”,
কাঁচা পাকা দাড়ি, সুন্দর অথচ অদ্ভুতভাবে ছাঁটা। সাদা গেঞ্জি,পেপে জিন্স, উডল্যান্ডসের সু, রে-বেনের চশমা এক অনন্য আজন্ম যুবকের আমার কাঁধে হাত,অমিতের হাত, জীবনের অন্য যাপনে চলা। চলতে চলতে ফুৎকারে উড়িয়ে দেওয়া প্রেমে অপ্রেমের সকল একঘেয়ে সুখ দুঃখ।
পদক্ষেপ ক্রমে ক্রমে দৃঢ় ও বড় হতে থাকে, মনে হয় যেন দিগন্ত ছাড়িয়ে যে তুমি আছ, সেই তোমাকে ছুঁয়ে ফেলব। আজন্ম লালিত সহৃদয় প্রজ্ঞা লাবন্যকে বলে উঠব “FOR GOD’S SHAKE HOLD YOUR TOUNGE AND LET ME LOVE” বা নিজের মত করে একটা ক্যাডবেরি দেবার অছিলায় হাত ছুঁতে ছুঁতে চোখে চোখ রেখে একবার পবিত্র স্নান সারতে সারতে বলে উঠব ,তোমার প্রজ্ঞার মত তুমিও খানিক ভারী হয়েছো।
ফ্লাটের ব্যালকনিতে একা শালিক যখন জীবন খোঁজে আমি দোসর খুঁজি ঝগড়ার,
সব ছাড়িয়ে তিনটে শালিকের ঝগড়ার প্রহর গুনি।
রাজপথের কোলাহল ম্রিয়মাণ হতে হতে তিনটে শালিক খুঁজি।
ওই যেন কারা দেশ বাঁচানোর গল্প শুনিয়ে মিছিল করে,
আমি সন্দীপ হয়ে যাই,
অনিচ্ছার আদেশে ইচ্ছার স্বাধীনতা খুঁজি।
ভালো মন্দ আদর্শ খুঁজতে খুঁজতে
সূতপুত্র কর্ণ হয়ে যাই।
অবহেলিত বীর আমি জীবনের জয় গান গাই।
তুমি নিঃশব্দে নন্দিন হয়ে যাও।
মিছিল পথসভা টিভি ইন্টারনেট গুগুল উনি তিনি
খেলা খেলনা এমন কি তুমিও শিক্ষা দিচ্ছ, সবাই পুঁথি পড়াচ্ছে।
শিখতে শিখতে আমি তোতারাম থেকে তোতাপাখি হয়ে যাচ্ছি।
লাবন্য সুধা হয়ে যাচ্ছে,
অচলা নন্দিন হয়ে যাচ্ছে।
সন্দীপ মিছিলে মিছিলে অমিত হয়ে যাচ্ছে।
অমল এখনো বসন্ত পদক্ষেপে জীবনের গান গাইছে।
তুমি সব কিছু মিলিয়ে রোদের মত গোধুলিতে মিলিয়ে যাচ্ছ।
আমি তোমাকে ড্রেসিংরুম থেকে অফিস
অফিস থেকে রাস্তার ধারের কোনো অচেনা
আবক্ষমূর্তি জুড়ে নিজের মত করে দেখি, চলি।
বিজ্ঞাপিত তোমাকে নিজের করে দেখার
প্রতিযোগিতায় আমি অন্য প্রতিযোগী।