শান্তিনিকেতনে সেই কবে ১৩৪৩ সালে বসে কবি তুমি লিখে গেছো আমাদের কথা …
তোমার ‘বাঁশিওয়ালা’য় তুমি লিখে গেছো যে মেয়েটির কথা তাকে তুমি চিনতে কি কবি !
বিধাতা পুরুষ যাকে গড়তে পুরো সময় দেন নি …
অন্তরে বাহিরে মিল হয় নি যার …
যার মিল হয়নি কোনদিন ব্যথায় আর বুদ্ধিতে
যে স্বীকার করেছিল সেদিন
আমি ‘তোমার বাংলাদেশের মেয়ে’…
আমি নারী আমি অনন্যা আমি অপরূপা .
আমি আকাশ ছুঁতে পারি …
তুমি তোমার সেই ‘বাঁশিওয়ালা’কে নয়
পাঠিও আরো একটি বার …
যাকে বলে যাবে এই নারী
‘ডানা দেয় নি বিধাতা
তোমার গান দিয়েছে আমার স্বপ্নে ‘
যার অন্তরে গড়ে উঠেছে এক নতুন পৃথিবী একটু একটু করে …
সেই তোমার বাংলা দেশের মেয়ে
মেয়ে বৌ মা হয়ে হারায় নি যে কোন এক পথের বাঁকে …
খোলা আকাশ আজও হাতছানি দেয় তাকে …
কালস্রোতের অমোঘ টানে ভেসে যেতে যেতে খড়কুটো হাতে সেই নারী…
অবলম্বন খুঁজে ফেরে নিজের অন্তরাত্মার কাছে…
আর বেলা শেষে ঘরে ফিরে নিজের কাছে নিজের সেই বলা নিত্য প্রতিদিন
আমি নারী , আমি অপরূপা আমি অনন্যা…
বুকে আগুন মনে ঝড়ের ডাক …
বাঁধন হারা সেই নারী
পেরেছে কি জয়ী হতে নিজের কাছে !
কি জানি ! এর উত্তর তুমি দিও কবি…
আজ নয় কাল নয় সেই খেয়া ঘাটের কাছে…
পাঠিও ‘বাঁশিওয়ালা’ কে না হয় একটি বার ..
পারাপারের শেষে বলে দেয় যেন সে
_ হে অপরূপা নারী
তোমার বুকের আগুনে
নব যৌবনের সৃষ্টি জড়িয়ে আছে….!
ডানা মেলে উড়ে যেও তুমি তোমার মুক্তিপথে_