• Uncategorized
  • 0

অণুগল্প ১ বৈশাখের বিশেষ সংখ্যায় প্রগতি মাইতি

দাগ

আমার বাবা নিজেকে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার বলে।বাবার সাইকেলের দোকান।বাবা দোকান বলে না,বলে ফ্যাক্টরি।বাবা বাড়ি থেকে ধোপদুরস্ত হয়ে একটা লজঝড়ে স্কুটার নিয়ে দোকানে যায়।দোকানে তিনজন কর্মচারী। বাবার মতে ওরা মেকানিক্স।দোকানে বাবা একটা পুরোনো প্যান্টের ওপর গাউন চড়িয়ে নেয়। ওই গাউনটা কোনো একসময়ে সাদা ছিল।এখন কালো কালো দাগে ভর্তি।একদিন স্কুল যাওয়ার সময়ে আমার সাইকেলটা গেল লিক হয়ে।প্রায় হাফ কিলোমিটার পথ সাইকেল ঠেলে ঠেলে বাবার দোকানে পৌঁছালাম।এই প্রথম বাবাকে তার ফ্যাক্টরির পোশাকে দেখলাম।বাবাকে সত্যিই ইঞ্জিনিয়ার লাগছিল।হাতে কালি মাখা।কালো ছোপের সেই গাউনটা পরা।হঠাৎ আমার চোখে পড়ল বাবার গাউনটায় অসংখ্য কালির দাগের মধ্যে কালচে লালের দাগ।রাতে বাবার কাছে জানতে চাইলাম,কালচে লালের কাহিনী।বাবা মুখে একটা অদ্ভুত হাসি নিয়ে বলল,ওটা রক্তের দাগ।ঐ দাগ যাতে না মুছে যায় তাই এই গাউনটা কোনোদিনই ধুই নি।
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।