প্রায় একবছর পর শুভেন্দুর রুমে এলো সে।
টেবিলের ওপর পুরু ধুলোর আস্তরণ জমেছে।ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা স্মৃতিগুলোকে একটি একটি করে কুড়িয়ে নিচ্ছিলো নিভা, মনের ভেজা সরণিতে। বুকসেল্ফে রাখা বইগুলো একটার পর একটা ঠিক সেরকমই সাজানো ।
প্রতিটি জন্মদিনে নিভা গিফ্ট করতো শুভেন্দুকে এক একটি কবিতার বই । শুভেন্দুর রুমে এখন আর সে খুব একটা আসেনা । বারান্দায় দাঁড়িয়ে হঠাৎই খুব উদাস হয়ে উঠেছিল মনটা আমগাছের দিকে তাকিয়ে ভাবছিল শুভেন্দুর কথা, কী ভালোই না বাসতো শুভেন্দু এই আম মুকুলের গন্ধ । এইসময়ে সন্ধেবেলা হলেই ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে দুজনে __ কতো সুন্দর সেই মুহূর্ত গুলো । একে একে মন ভরে স্বাদ নিচ্ছিলো নিভা আর চোখ ভরে উঠছিল সন্ধ্যাকালীল নিঃসঙ্গতায় । প্রাণভরে ঘ্রাণ নিচ্ছিলো আম মুকুলের।
আজ এপ্রিলের চার । এবারই প্রথম শুভেন্দুর জন্মদিন একা একাই পালন করবে নিভা।
চোখ দিয়ে নেমে আসছিল এতদিনের গুছিয়ে রাখা কান্নাগুলো।বুকসেল্ফে আবার একটা নতুন কবিতার বই …. শুভেন্দুর সব অপ্রকাশিত কবিতা নিয়েই “আম মুকুলের গন্ধ ” নিভার তরফ থেকে এবারের উপহার।
আম মুকুলের গন্ধ ছুঁয়ে নিভা অনেকদিন পর আজ ভীষণ কাঁদলো।