–slotgacor–ab(dower88) – অণুগল্প ১ বৈশাখের বিশেষ সংখ্যায় সুব্রত বসু
by
·
Published
· Updated
বাঁচার আনন্দে
তিন দিন ধরে করেন্ট নেই ।মোমবাতি জ্বালিয়ে খেতে বসেছে ওরা তিনজন। তিনজনেই সন্ত্রাসবাদী। কিছুক্ষণ আগে রেললাইনে মাইন ফিট করে বাজার থেকে রুটি তড়কা দিশি মদ কিনে এনেছে এক বোতল। এদের প্রত্যেকের পকেটে রয়েছে সায়ানাইড’এর ampoule, ঠিক রাত দুটো’পঁয়ত্রিশ মিনিটে রাজধানী এক্সপ্রেস যাবে এই লাইন দিয়ে। ওদের ডেরা রেলওয়ে ট্র্যাক থেকে খুব দূরে নয়।দুর্ঘটনার আওয়াজ শুনে তিনজনে একসঙ্গে দাঁত দিয়ে ভাঙবে ampoule কাঁচ।
প্রথম “আজ কত তারিখ”
দ্বিতীয়:” সেকি মনে নেই থার্টিফার্স্ট ডিসেম্বর”
তৃতীয়; ” নতুন বছরে সরকারের শুরুটা কেমন হবে”।
দ্বিতীয় :” কিন্তু আজ তো মেয়েটা দৌড়াবে না অলিম্পিকে”.
প্রথম :”কার কথা বলছিস”
তৃতীয়: আমাদের পাড়ার রিমা দাস
প্রথম : কারেন্ট নেই
দ্বিতীয় :আমার পাওয়ার ব্যাংক,লোড করা আছে।
প্রথম :তাহলে আর কি দেরী করিস না আরম্ভ হয়ে গেছে।
তৃতীয়: মদটা খুব কড়া, মাথা ঝিমঝিম করছে।
নেশাতুর চোখে তিনজন উন্মুখ হয়ে পড়ল মোবাইল ফোনের ছোট্ট পর্দায়। জোরে আরো জোরে মেয়েটা দৌড়াচ্ছে একেবারে পিছন থেকে একের পর একজনকে টপকেএগিয়ে চলেছে, আর একজন, দেখা যাচ্ছে ফিনিসিং পয়েন্ট। প্রথম জন ঘুসি মারল টেবিলে, মদের বোতলটা ছিটকে পড়ে ভেঙে গেল সশব্দে, তিনজনেই চীৎকার করে উঠল আনন্দে। মেয়েটা জিতেছে, ভিকট্রি স্ট্যান্ডে সবার ওপরে ভারত।জাতীয় সংগীত বাজছে, হাততালি আর আনন্দ উচ্ছ্বাস। গলায় পরিয়ে দেওয়া হল সোনার মেডেল।
প্রথম : “চল মাইনটা নিষ্ক্রিয় করে আসি,না হলে এতবড় খবরটা চাপা পড়ে যাবে কাল সকালে:।
দ্বিতীয় আমরা তাহলে আবার কিছুদিনের জন্যে বাঁচব। তিনজনেই হো হো করে হাসতে হাসতে মিলিয়ে গেল অন্ধকারে রেল লাইনের উদ্দেশ্যে।