• Uncategorized
  • 0

অণুগল্প ১ বৈশাখের বিশেষ সংখ্যায় আলোক মণ্ডল

নববর্ষের গিফট

ঠিক ৭টা ৫২ -য় ল্যান্ড করবে ৫৭০- এয়ার জেট,  তাই খুব তাড়াতাড়ি তৈরী হয়ে নিল সুমিত ও সুমিতা।ড্রাইভার ডাকার হ্যাপা ছেড়ে সুমিত নিজেই ড্রাইভ করে এয়ারপোর্টের উদ্দেশে বেরিয়ে পড়ল, এক ঘণ্টা আগেই। সুমন ওদের একমাত্র ছেলে আজ তিন বছর পর সুইডেন থেকে ফিরছে। ওখানে ও পোস্ট ডক্টোরাল কোর্স করতে গিয়েছিল,এখন শেষ। এরপর এখানে কোন একটা ভালো ইউনিভার্সিটিতে অধ্যাপনা করবে,উদ্দীপনা দু’জনের তাই কম নেই।
সুমনও  আর পাঁচটা ছেলের মতো নয়, মা-বাবার ভীষণ বাধ্য,  কখনও তাঁদের অনুমতি ও পরমর্শ ছাড়া কিছুই করেনা।প্রতিদিনই এ-দেশে রাত সাড়ে ন’টার পর ভিডিও কনফারেন্স করে,মা- বাবার সংগে কথা না-বলে কুশল না নিয়ে  কখনই বাড়ি থেকে বেরোয় না। তারপর ইউনিভার্সিটি,ল্যাব! সব রকমেরই কথা হয়-ভালোলাগা,মন্দলাগা,ওখানকার পরিবেশ, নতুন বন্ধুত্ব সব কিছুই যেন সুমিত ও সুমিতার নখদর্পণে,সব কিছুই দেখতে পায়!  এই তো সে-দিন ওর রুমে সহপাঠীদের নিয়ে লাঞ্চ আর  সে কি হৈ- হুল্লোড়,সবটার ধারাবিবরণী দেখাল ভিডিও কলে আর বলল, “এবার ১লা বৈশাখ বাড়ি ফিরছে, ফিরে জমিয়ে নববর্ষটা সেলিব্রেট করবে”!
এমন সোনার-টুকরো ছেলে বাড়ি ফিরছে, কার না আনন্দে বুক  ফাটে! তাই একটু আগেই ভি-আই-পি লাউঞ্জে এসে হাজির।প্লেন ল্যান্ড করতে এখনও মিনিট তিন দেরি, অস্থির হয়ে উঠেছে দু’জনেই,ঘনঘন ঘড়ি দেখছে আর এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে! সুমন বলেছে সে আকাশী রঙের শার্ট ও কালো ট্রাউজার পরে আসবে।  ভিড়ের মাঝে যাতে খুঁজে পেতে অসুবিধা না হয়।দু’জনেই সতৃষ্ণ নয়নে। হঠাৎ, “ঐ তো, ঐ তো সুমন!” -বলে আনন্দে লাফিয়ে উঠল সুমিতা। সুমিতও দেখতে পেল সুমনকে সেই আকাশী শার্ট, সেই স্মার্ট চলন,মিষ্টি অথচ লাজুক হাসি! কিন্তু পাশে  গায়ে- গা লাগিয়ে ঐ সোনালী চুলের সুন্দরী মেয়েটি কে? ওকি,ওর বান্ধবী না ওর সংগে রিসার্চ করে ! ওরা এরকম ভাবছে, বেরিয়ে এসে সুমন ঢপ করে বাবাকে প্রণাম করে মাকে দেখিয়ে বলল,”ডার্লিং ইয়োর মাদার-ইন- ল,সেক-হ্যান্ড, প্লিজ”!
সুমিত ও সুমিতা যেন আকাশ থেকে পড়ল!  এই সেই সুমন যে প্রতিদিনই সব কথা বলে, অথচ-
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।