এরম কিছু যুক্তি খাড়া হয় এবং তদারকির বিলিভিয়ানরা ঠাঁই নিয়ে নেয় সেই ছত্রের রপ্ত রপ্তানিতে। কেউ যতটা বিলিভ ছড়ায়, তার চেয়ে মশা বিশ্বস্ত। বর্শিয়ান কবিরাজের মতো করে ব্লাডগ্রুপ না জেনেই আঙুল ঢুকিয়ে ড্রিল করা ধূর্ত হপ্তা চায় না এরা। বহু ইমারত পেরিয়েই তো একটা সরল ত্রিকোণ পড়ে, বহু কর্ষণ করার পর এরম একটা আকার নেয়। এর আকাশে চাঁদ ওঠে না, নক্ষত্র জ্বলজ্বল করে না, অথচ কতশত চাঁদ নক্ষত্র এর কাছে এসে মাথা নুইয়ে যায়, যায় বলতে বিদায় এমনটা নয়, আসার পাথেয় শুধাই।
কি অদ্ভুত তাই না! কত সরলতম জীবন থেকে শুরু করে গুহা গুহা ম্যাডহাগ তাড়া করতে শুরু করে। আমাদের প্রকৃতি প্রেমকে কত সৌখিন ভাবে রঞ্জকে মিশিয়ে শরীরে ইস্ট জন্মাতে দিই আমরা। তর্ক একটা বিশেষ ধরনের বেলেল্লাপনা, আর বেলেল্লাপনা একটা আর্ট, অতএব লৌহের প্রাচীরে একটা চুম্বন দূর্বাসার বাসাটিকেও নাড়িয়ে দিতে পারত। নেহাত গোধূলিকে বিপদ ভেবে বিপথ মাড়ায়নি কেউ, নইলে হয়তো ম্যানোকা ইন্দ্রাণী হতে পারতো।
বিপদে বিপথে যারা গেছে, তাদের চেয়ে সাহসী শহিদ খুব কমই আছেন, এখানে বিরোধ আসতে পারে আমি শহিদের শাহি তাজ কলুষিত করছি এটা ভেবে। হরেন কাকা বলে ফেলতেই পারেন আমি একটা আস্ত আহাম্মক। ক্ষতি কী, যদি আহাম্মকীতে বীরের বছর দেখা যায়?
আমি প্রকৃতি প্রেমী হতে পারতাম, ডাঁটে একটা, দুটো, চারটে, ছটা সূর্যদয় লিখে ফেলতে পারতাম, আমিই বোকা তাই আহাম্মকের মতো সূর্যাস্তের লাল রঙের ভিতর থেকে মাসিকের রক্ত তুলে বের করে আনি। বারবার ওই মানুষ খেকো বাঘিনীর গুহায় প্রবেশ করি, আর নিজেকে রক্তাক্ত করে আবার ত্রিকোণমিতির অন্তিম সুরে গা এলিয়ে দিই।
আসলে যেদিন প্রথম জানলাম সূর্যাস্তটিও অন্য কোনো একটি দেশের সূর্যদয় সেদিন থেকে ওই চোখা লালের পিছনে দৌড়াতে শুরু করেছি। অস্ততেই যেহেতু উদয় লুকিয়ে তবে অভিমুন্যের রক্ত ঝরাতেও কোনো পাপ ছিল না।
ভেবে দেখলে পরীক্ষিৎ বা কৃষ্ণই পাপী, কলি আসন্নপ্রসবা তখন আর কেউ পুরোদমে এক সন্তানপ্রসবা নারীর গর্ভপাত করাতে চাইছে এর চেয়ে বড়ো পাপ আর কী হতে পারে? এবার তাহলে সিওরলি আমাকে অধার্মিক মনে হচ্ছে তাইতো?
আসলে ধর্ম কথাটিই তথাকথিত ধর্মের বিরোধী। যে ধরে রাখতে চায় সে তো সময়কে অস্বীকার করতে চায়, সময় যেহেতু পেরিয়ে যাওয়ার প্রতীক তাই যা হচ্ছে সেটা হতে দেওয়াটাই অধিকতর সুফলা।
এসব অপ, অনু কিছুই নয়, প্রচার অপরাধ নয়, কিন্তু যে লয়ে ছন্দ হেরে যায় তার দাক্ষিণ্য শিকার করতে আমরা ভয় পাই তাই স্বীকার করে ক্ষান্ত হয়ে যাই। আর পরিত্রাতা যে সময় তার স্রোতে গা ভাসিয়ে নিজেকে ইন্টালেকচুয়াল ভেবে তৃপ্ত হই।