হ্যাঁ,এতদিন শুধু মৃত্যু ভয় ছিলো। কিন্তু পুরো ব্যাপারটা ছিলো অসাম্প্রদায়িক। ধর্মকে দূরে সরিয়ে, ধর্মকে পাশ কাটিয়ে সাধারণ মানুষ যখন ধর্মনিরপেক্ষ মৃত্যুভয়ে ভীত,গৃহ কোণে কোণে আশ্রয় নিয়ে নিজের নিজের ধর্ম পালন করছে, তখন বোধহয় খেলাটা ঠিক জমছিলো না!
কারো কারো বোধহয় বিষয়টা সহ্য হচ্ছিল না!
ব্যাস, এই তো পাওয়া গেছে নিজামুদ্দিন!
আর কি! বাজারি মিডিয়াও ঝাঁপিয়ে পড়লো রং চড়াতে। তা-না হলে ব্যাপারটা বোধ হয় ঠিক জমছিলো না,রোমহর্ষক হচ্ছিল না, লোকজন টিভি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছিলেন। তখন তখন এটার বোধহয় খুবই দরকার হয়ে পড়েছিলো।
না,এ ব্যাপারে পাতি পাব্লিকের কোনো মতামত নেই।
মার্কাজ নিজামুদ্দিনের প্রেস নোট টি ট্যুইটারে পাওয়া গেল, সেখানে তাদের বক্তব্য আছে। পাঠক পড়ে দেখুন।
১৩ মার্চ,২০২০ পিটিআইকে সরকারি আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, মার্চ শেষ হয়ে এলো, বিশেষজ্ঞরা বলছেন এপ্রিল মাসটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। রোগ,অসুখ, ভাইরাস ধর্ম দেখে ধরে না । খবর যা আসছে তা দেখা যাচ্ছে, সাধারণ মানুষ এবার সংক্রামিত হচ্ছেন। আমাদের সাবধানতা অবলম্বন করা ছাড়া অন্য কোনো বিকল্প নেই। এরকম দমবন্ধ অবস্থায় সাম্প্রদায়িক অশান্তি চাই না।
আরেকটি তথ্য ট্যুইটার থেকেই পাওয়া, কেউ কেউ কী ভাবছিলেন, কেউ কি করোনা নিয়ে সরকারকে সতর্ক করেছিলেন, করলে কখন? আসুন, দেখে নিন- তাং ১২ ফেব্রুয়ারি,২০২০। ট্যুইট করেছেন রাহুল গান্ধি-
♦
পশ্চিমবঙ্গের মানুষ মুখ্যমন্ত্রীর মুখে গতকালের চার ঘন্টা মিষ্টিদোকান খোলার খবরে না কি, কে জানে এমনভাবে সব রাস্তায় নেমেছিলেন যেন তারা লকডাউন উৎসব শুরু করেছেন । অন্যান্য দিনের তুলনায় আজ মানুষকে দিনের বেলায় একটু বেশিই রিলাক্সড লাগছিলো। জানি না আগামীকাল কী হবে!
ভারতে প্রতিদিন সংক্রমিত হওয়ার সংখ্যা বাড়ছে, সেই সঙ্গে মৃত্যুসংখ্যাও। সাধারণ মানুষকে বাঁচানোর ভাবনাটা কবে শুরু হবে কেউ জানেন?