বিশ্ব কবিতা দিবসে অর্ঘ্য রায় চৌধুরী
by
·
Published
· Updated
নিস্তরঙ্গের আত্মজীবনী
এসব দিন ও রাত্রি আমার না
পথ চলতে চলতে এক নদীর সঙ্গে দেখা হয়
ফিরে আসতে আসতে শুনি আবহমান ডেকে
গেছে কেউ, সাড়া দিইনি
এখন এক ভগ্নস্তুপের ভেতর নিজেকে খুঁজি
পালাগান গাই, মাঠের কিনার জুড়ে গেয়ে
ওঠে মেঘ
আজ বাড়ি ফিরি, দরজা লাগাই
নদীর ভেতর থেকে ডাক ভেসে আসে।
নেশাতুর অক্ষরগুচ্ছ
রাত্রি নিয়ে যারা লিখে গেছে
তারা জানে না রাত্রির কোনো যতি নেই
আর ঘুম মানেই আলো আঁধারি অনুচ্ছেদ না
আমাদের চায়ের দোকানে বৃষ্টি হয়
ভেজা বেঞ্চ জুড়ে বেড়ে ওঠে
চিরহরিৎ বন, দিগন্তে নীল পাহাড়
আর আমরা নারীর শরীরে রাত্রি খুঁজতে খুঁজতে
প্রাগৈতিহাসিক যুগে চলে যাই
সেখানে ধু ধু মাঠ, চায়ের দোকানের বেঞ্চ
রাত্রি একটা পথের নাম হয়ে ভেসে ওঠে
আমরা চায়ের গ্লাসে কবিতা পান করতে করতে দেখি
রাত্রি নামে কোনো সময় নেই, শুধু কিছু ডাক
জানলার পাশ থেকে চলে গেছে দূরে
আর ঘুম এক সবুজ প্রবাল।