বিশ্ব কবিতা দিবসে বিপ্লব গঙ্গোপাধ্যায়
by
·
Published
· Updated
এক গুচ্ছ কবিতা
অরণ্যকাঠের দীপ্তি
এই চাঁদ পুরোনো জমিন
তবু জ্যোৎস্না যেন শস্যবীজ
আবার নতুন করে ফলবতী হয়ে উঠবে মাঠ
ঋতুস্তব্ধ গানের ভেতর
যে তুমি প্লাবনরেখা আনতে গিয়েছিলে
অরণ্যকাঠের দীপ্তি হাড়ে হাড়ে মজ্জা নীলিমায়
খুলে দিলে নির্জনতা হারানো চৌকাঠ।
আগামীর ছায়া
যেখানে দাঁড়িয়ে আছি
তার পাশে অজান্তেই জেগে উঠল চর।
কোথাও কি আলো ফুটছে ?
কোথাও কি ঝরে যাচ্ছে
অমসৃণ ক্ষয়িষ্ণু প্রস্তর?
যে পাথর ইতিহাস লিখে রাখে লিপিঘরে
যে পাথর জেনেছে গুহায়
মানুষের হারানো ঠিকানা
স্বপ্নলেখা শিল্পের স্মারক
একদিন উঠে আসবে তোমার আমার হাতে
এসবই তো আগামীর দায়।
নিজস্ব ঠিকানা
নিভৃত আলোর পাশে এই বনপথ
মর্মের গভীরে জমে ক্রমেই কুয়াশা
যতদিন চলাচল
ততদিন খুঁড়ে যাওয়া নিজস্ব ঠিকানা
কেউ কি ঠিকানা পায়?
গন্তব্য শব্দের গায়ে বিশ্রাম আবাস।
বিশ্রাম মানে তৃপ্তি
থেমে যাওয়া স্বস্তির নিঃশ্বাস
অচঞ্চল মৃত্যু পরোয়ানা ।
পথ ছিঁড়ে ছিঁড়ে তাই নতুন রাস্তার কাছে এসে
আরও দূরে যাবার প্রস্তুতি ।
সুগন্ধের স্নান
একান্ত ভুলের পাশে বারবার স্পর্শ করি
আলোর ভ্রুকুটি ।
যে কথা হারিয়ে গেছে
তার গন্ধে এখনও বাতাস
ভারি হয়
এখনও বৃষ্টির শব্দে ভরে যায় তোমার বাগান।
ভুলগুলি কুড়িয়ে কুড়িয়ে
ঝুড়ি ভরে উঠল এইমাত্র ,দেখো
কী সুন্দর রঙ রস আনন্দনির্যাস
যেখানে দাঁড়িয়ে থাকে মানুষের ভুলে ভরা প্রত্যহজীবন
সেখানেই আলো ফোটে সুগন্ধের স্নান।