• Uncategorized
  • 0

অণুগল্পে জয়ন্ত দত্ত

দূরত্ব

আজকাল বিতান একটুতেই মাথা গরম করে ফেলে।একটা প্রশ্ন করলে চিৎকার করে দশ টা উত্তর দেয়।রমা দেবী বেশ কদিন ধরেই লক্ষ্য করছেন ছেলের এমন আচরণ।বিশেষত যবে থেকে কলেজ যাওয়া শুরু করেছে।একটু অগোছালো ভাব।বই পত্তর ,ল্যাপটপ, সিডি সব এদিক ওদিক ছড়ানো।এরমধ্যে একদিন রমাদেবী স্থির করলেন ছেলের জিনিসপত্তর সব কিছু গোছগাছ করে রাখবেন।ছেলেও হয়তো এতে খুশি হবে।সেইমত পড়ার টেবিলের ওপর সব গুছিয়ে রাখলেন।সন্ধ্যেবেলা বিতান কলেজ থেকে ফিরে নিজের ঘরে ঢুকে একদম চুপচাপ।রমা দেবী ভাবলেন, যাক ছেলে বোধহয় খুশিই হয়েছে।
কিছুক্ষন পর হঠাৎ বিতান রুদ্র মূর্তিতে চিৎকার করতে করতে বেরিয়ে আসে –‘মা -মা –কতবার বলেছি আমার জিনিসপত্র ঘাঁটবে না।একটা গুরুত্বপূর্ণ কাগজ পাচ্ছি না।তুমি কি আজকাল আমার কথা বুঝতে পারো না!’
রমা দেবী বিষণ্ণ মুখে বলে ওঠেন –‘নারে,সত্যিই বুঝতে পারিনা।তুই যখন ছোট ছিলিস,কথা বলতে পারতিস না,তখনই বেশি বুঝতাম তোকে।তুই যত বড় হয়ে উঠছিস, ততই সব কেমন অস্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে যেন আজকাল।যতদিন মা ছিলাম বেশ বুঝতাম।যবে থেকে তোর বাবা হওয়ার চেষ্টা করছি ,সেদিন থেকে সব বুঝে উঠতে বেশ অসুবিধা হচ্ছে।’
বিতান কি বলবে ভেবে পায় না।কাছে এসে মা-কে জড়িয়ে ধরে।দুজনের চোখেই জলের ধারা।সাক্ষী থাকে কেবল সামনের দেওয়ালে টাঙানো মালা দেওয়া একটি অস্পষ্ট প্রতিচ্ছবি…
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।