যাত্রা কথাটির সঙ্গে যেন জড়িয়ে আছে বাংলার ঐতিহ্য সংস্কৃতি। সারা রাত চলতো যাত্রা পালা সেই যাত্রা দেখে ভোরবেলা ফেরা বাঙালিও আর দেখা যায়না। সেই গুরুগম্ভীর কণ্ঠ বা করুন সানাই এর সুর কিছুই আর শুনতে পাওয়া যায় না। সময়োপযোগী করে নতুন করে কিছু গড়ে তোলার উদ্যোগ ও দেখা যায়না।
যাত্রাপালা শুরু হতো দূর্গা পুজোর মাস থেকে আর শেষ হতো ঠিক চৈত্র মাসের শেষের দিকে। এক কালে স্কুল কলেজ সব জায়গায় বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গান পালা বা যাত্রা পালাকে ডাকা হতো কিন্তু এখন আর তা হয়না। গত বছর সারা বছরে সাত কি আটটি মাত্র যাত্রার প্যান্ডেল হয়েছে বলে জানা যায়।
সেই জন্য যাত্রার মালিক শিল্পী যন্ত্রবাদক সবাই প্রায় হতাশায় ভুগছেন। কিন্তু উপায় র কিছুই নেই। অনেকে জীবিকা পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছেন। কিন্তু এই যাত্রাপালা কেন বিলুপ্তির পথে এই প্রশ্ন সবার মুখে মুখে কেউ দুষছেন প্রশাসন কে আবার কেউ যাত্রার মালিক কে।
কিন্তু এদিকে লোকসানএ ডুবে গেছেন যাত্রা দলের মালিকরা। সে খবর কিন্তু কেউ রাখেনি। গোপালগঞ্জের যাত্রা দলের মালিক যাত্রা দল চালাতে না পেরে পার্লার খুলে বসেছেন তার নাম শোনা যায় মনীষা অধিকারী। তিনি র যাত্রা নিয়ে ভাবেননা। কিন্তু তিনি এককালে অভিনয় করতেন যাত্রায়। অনেকে মনে করেন যাত্রা করার মতো র পরিবেশ নেই অশ্রীলতায় ডুবে গেছে গোটা দেশটা তাই মানুষের চিন্তা ভাবনাও বদলেছে চাহিদাও বদলেছে তাই র যাত্রার প্রতি টান বা আসক্তি কোনোটাই নেই মানুষের।
যাত্রা মালিকদের দায়িত্ব তারা যেখানে পালা করবে, তারা যেন এগ্রিমেন্টের কপি রাখে। প্রয়োজনবোধে শিল্পকলায় জমা দেবে। আমার মনে হচ্ছে আমাদের যাত্রা অনেকটা এগিয়ে যাচ্ছে।