কবিতায় রাহুল পুরকায়স্থ
খোয়াবনামা
রক্তে টান লাগে
টের পাই আনন্দ-বাহার
মৃতের জীবন দেখি, হাসে
ক্রমে জাগে বিহ্বলতা
ক্রমে জাগে প্রাণ
আমি তাকে জড়াই আঙুলে
খানিক বিদ্রুপ হলো
খানিকটা ভালোবাসাবাসি
অনেক হিংস্রতা হলো
অনেকটা হত্যা হত্যা ক্রীড়া
তবুও হে কৃপাসিন্ধু
দেখি আজও রক্ত ঝরে
আমারই পঞ্জরে
আমি রক্ত উপভোগ করি
তারই লোলচর্মে
বিদ্ধ করি প্রাণ
আমার সন্তান আসে
আমার সন্তান ভাসে
দিগন্ত অবধি
যে-দিগন্ত যুদ্ধের আহ্বান
ভ্রমণকাহিনি
অনেক ঠকেছি আমি এবার ভ্রমণে
গাড়িচালকের কাছে, মদবিক্রেতার কাছে,
এরকম আরও কত কতবিধ আছে
কিছু হারানোর মধ্যে আছে
নিজের দর্পণ, যদিও তা ভাঙা
পারা-ওঠা নড়বড়ে দাড়া,
ব্যক্তিগত খাদের কিনারা
আমাকে দেখায়,
মেরুদণ্ডে স্রোত বহে আগুনশীতল
জল খাই, ঢোঁক গিলি, পুনরায় জল
অনেক ঠকেছি ভেবে অতলে অতল
খুঁজে ফিরি, শরীর পাচার করি
আরেক শরীরে
বৃক্ষে বৃক্ষে পুষ্প ওড়ে, শস্যেও স্মৃতিতে ওড়ে
দেহযান উড়ে চলে অস্তনদীতীরে।