নিদন্তের চাঁদ বড় কামনাময় চোখ না গর্ত, আহা যেন গুটিবসন্ত হয়ে গোলাটে মুখের কাছে বিষাদের অপ্রস্তুত হাসি আমার নিশীথবস্ত্র হা হা ক‘রে ওড়ে কিসের খেয়ালে বারান্দায় দাঁড়াতেই বৃদ্ধ ফের চাদর সরিয়ে ফিরে তাকিয়েছে তারপরে পায়ে তার ওলোটপালোট মেঘের সূক্ষ্ম সেই কম্বল থেকে হলদেটে শরীরের দেয় যেন ক্ষীণ ইশারাও আচ্ছা, বুঝেছি, তবু এমন করে না দূর থেকে কাতরাবে সেই চেয়ে মাঝেমাঝে আসি সিফিলিস ছিল নাকি? রঙ্গিলা প্রাচীন যুবক? গেছে যে মাথার চুল সবই, শুধু চোখ পড়ে আছে থেকে থেকেমর্ষসুখ দিতে আর নিতে ভালোবাসি
এন।আর।সি ও ইঁদুরমানুষেরা
নীচে নাকি ইঁদুর ঢুকেছে গর্ত খুঁড়ে খুঁড়ে তারা আছে উপরমহল থেকে খবর এসেছে নীচতলা খুঁড়ে ফেলা হবে
বাচ্চাগুলো কেঁদে ওঠে, চাকরমহলে রাত্তিরে ঘুম থেকে উঠে তারা শুকনো মাই খায় লেপটালেপটি ক‘রে পড়ে থাকা চাকর চাকরানি শীতের লেপের মতো একেদুয়ে ধরে শুয়েছিল হঠাৎ লেজার টর্চ মুখে দেখে উঠে গেছে তারা
সশব্দে মাটি খোঁড়া হবে অনেক মানুষ কাল ইঁদুরের গর্তের জমা ধান নিয়ে খিচুড়ি চাপিয়েছিল, ইঁদুরের সঙ্গে তাদের মিথোজীবিতাও হয়ে গেছে মাটির নীচের দিকে কাটাতে কাটাতে আয়নায় তারা কিছু ইঁদুর ইঁদুর দেখতেও
উপরমহল থেকে খবর এসেছে রাত্তিরে মাটি খোঁড়া হবে চেউভেউ ঘাবড়ানো, কাঁদাকাটি দেখে বিরক্ত মুখে তবু নায়েবরা বলছেও জমিদারবাবু হুকুম দিয়েছে ইঁদুর বেরিয়ে যাবে শুধু চাকরবাকরগুলো এখানেই থেকে যাবে তাদের কারোর, কিচ্ছু হবে না বাচ্চারা মাই খায়, মেয়েগুলো বুক সামলায় লোকগুলো ভয় পায়, এক একটা খুব রেগে ওঠে যে কটা উঠছে খেপে সে কটার মুখে দশ জুতো মেঝে খুঁড়ে ফেলা হবে রাতারাতিনীচের তলায়