• Uncategorized
  • 0

কবিতায় অনিমেষ সিংহ

ঝাড়গ্রামের গোপীবল্লভপুরের বাসিন্দা।  ২০১৬, কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলায় প্রথম কাব্যগ্রন্থ, "নদীর জলে লেখা", তার পরের বছর, অর্থাৎ,  ২০১৭তে, " জলঝিরি" প্রকাশিত হয়, অসময় প্রকাশনী থেকে। প্রকাশিতব্য  "গোলাপী শঙ্খচিল" । 

ধর্মের ঘরবাড়ি

এখানে তো ধর্ষক নেই। এখানে ধর্ম থাকেন
কুণ্ডলী পাকিয়ে।
আর, যা কিছু বলবে তুমি, আমি জানি-
সিনেমায় সংলাপ শুনে, শিখেছি।
ঘটিবাটি বিকিয়ে যে মেয়টির ঘর পাল্টে গেল
তাকেও ধর্ম, রোজ, ধর্ষণ করে
তবু বলব, ধর্ষক নেই  এখানে। তুমি যা বলতে চাও, তাতে জুঁইফুলের সুগন্ধ
চকোলেট কেক এবং মোমবাতির একটি মিছিল থাকবে
এবং তারপর, ধর্ষক নেই বলে, আমরা সিনেমা দেখে, ফুচকা খেয়ে বাড়ি ফিরব
ধর্ষক নেই বলে আবার নিশ্চিন্তে ফুলের গাছে জল দেব,
মেয়েরা পাখির মতো বেরিয়ে পড়বে রাস্তায়।
আবার কোনো একদিন, রাস্তায় পড়ে থাকা পাখির মৃতদেহে
রেখে আসব একটি মোমবাতি।
পরস্পরকে বলব,
এখানে ধর্ষক নেই, ধর্ম আছে।

তোকে একটা বাংলা কবিতা দিলাম

রূপের কারবার করে একটি লোক,
তার বাক্সের ভিতরে আছে-
পারিজাত গাছের শেকড়,
ভাঁজকরা আকাশ,
এক বোতল মধ্যরাত
এবং পাখির জিন, আরও কতো কী।
তার কাছে কিনতে চাইলাম সেদিন,
নির্জন একটি রেলস্টেশন
সে বলল, নেই। একটু আগে রাজার লেঠেল, কিনে নিল।
আমি চাইলাম, হোলির দিনের বর্গীডাঙা মাঠ।
তাও নেই! সে বলল, ঈশ্বর নিজেই নিলেন কিনে সমস্ত আবির।
আমি চাইলাম বিষ।
সে বলল, তাতো দেওয়া যাবে না। কারণ, প্রতিরাতে বিষ না পান করলে, ঘুম আসে না তার!
তবে আমার জন্যে কিচ্ছু নেই?
সে বলল, আছে তো। এই বাক্সটা। কাল থেকে তুমিই ভরে নিও…
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।