• Uncategorized
  • 0

সাপ্তাহিক ধারাবাহিকা -তে পলাশ চৌধুরী (পর্ব – ১২)

স্টেজের পাশেই স্বয়ংসিদ্ধা

দ্বাদশ পর্ব

—এবং সমস্তটাই দায়োত্তরণ। যেমন তোমাদের সৌখিন শাল, গালা ছাতিম আর আমার খেজুরে উপত্যকা। এসে দাঁড়িয়ে একটু কষ্ট হবে ঠিকই, কষ্ট হবে নীতি নির্ধারনীদের বালখিল্যতা আমার চোখে ধূসর হয়ে যাচ্ছে দেখে। আমি তোমাদের বর্ষায় বাঁচিনি, শরৎ, হেমন্ত বা বসন্তেও বাঁচিনি, আমি তোমাদের অরণ্যে রোদন করিনি, আমি তোমাদের একটু একটু গেলাস খালি করিনি। আমি বেঁচেছি রোদে, যেখানে যখম ঘাম হয়ে শুকিয়ে গিয়েছে ক্ষতে, আমি বেঁচেছি শুধু নিজস্ব বৈশাখে—
আমার কোনো বন্ধু জন নেই, আমার কোনো প্রেমিকা বর্তমান নেই, আমার কোনো গাঁতাহাস্য নেই, আমার শুধু শুকনো শুক্রবার আছে, যেখানে বিকেল এসে বসে, আর আমি পায়রা উড়িয়ে দিই রোজ আঙুলের ফাঁকে।
এ নেহাৎ ফেলে আসা সস্তার বিনিময় নয়, স্যোশাল ক্রিম লাগানো ফ্রক, যার গায়ে অসংখ্য ভার্সন, তোমরা বুঝো বা না বুঝেই আমি অসৎ ভেবে চাল গুঁড়িয়ে দাও তাতে আমার কিস্যু এসে যায় না। যেভাবে প্রেমকে অতিথি ভেবে আজও জপ করে চলেছি “অতিথি দেবঃ ভবঃ” একই ভাবে এই যাপন কোলাহলে আমার নিজস্ব আইসিইউ এভাবেই তৈরি করে রাখবো। আমি নিজস্ব পাঠককে কবেও ঈশ্বর বানিয়ে তিল তিল তৈলে ভিজিয়ে রেখে ওদের ঘরে পিলপিল গবেষণা করেছি জাহির করবো না।
এসব টুকরো কথা খাপছাড়া হয়ে উঁকি দেয় নীহারের অনীহাতে। তার প্রাচ্যে যে ভাষা বৈচিত্র্য যেখানে থিম নেই নিজস্ব কিছুর, যেই মিথটার পিছনে সে কোনোদিন ছুটে যায়নি তার বড্ড প্রয়োজন, একটা “শাহীভৃত্য” আজ আবার খুব প্রয়োজন। যার মস্তকে আঁকা রয়েছে স্বয়ংসম্পূর্ণ সেরকম একটা বিদঘুটে পথিকের খুব প্রয়োজন, তবে কি নিজের কলমে কালিম্পং আঁকড়ে ধরার সময় এসেছে আবার! তবে কি স্বয়ংসিদ্ধাকে বাঁচিয়ে তোলা জরুরী হয়েছে আবার! এসব কিছু ভাবতে ভাবতে জ্বলন্ত সিগারেট হাতে নিয়েই ঘুমিয়ে পড়লো ভাবক্লান্ত নীহার।

ক্রমশ…

ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।