ফার্স্ট স্টপ
মহাবিশ্বে মহাকাশে অন্ধকারে ছড়িয়ে আছে যে তাকে চিনতে, তাকে জানতে তাকে বুঝতে প্রয়োজন হয় একজোড়া স্বচ্ছ স্বপ্নালু বিশ্বাসী চোখের। প্রশ্ন করি তুমি কি বিশ্বাস করো অন্ধকারকে, উত্তর আসে করি অথবা করিনা, যদিও বা করি অন্ধকার চাইনা, অন্ধকার চাইলেও আলো ছাড়া থাকতে পারিনা। আলোর দেশে চিঠি পাঠিয়ে রেখেছিলাম সে ফরওয়ার্ড করেছে তার অন্ধকারের নারীকে। জানতে পেরেছি তার নাম কালী, বর তার মহাকাল। কাল যদি সময় হয় তবে সময়ের রং বুঝি এমনতর কালি পানাই হয়। সব রং মিশে গিয়ে কালো রং হয় কিনা দেখতে ছোটবেলায় বহু রংয়ের বহু সমাহার ঘটিয়েছি ছবি আঁকার রঙ গুলোকে নষ্ট করে। না কিন্তু যাকে ঠিক কালী কালো বলে সেই রং আমি কোনদিনই আনতে পারিনি। কী দিব্যি দীপান্বিতার রাতে অমাবস্যার কালো আকাশের তলায় নেংটা কালো মেয়ে দিব্যি পূজা নেয়। ওই যে আলোর উৎসব দীপাবলি তা বুঝি আমার কালো মেয়েকে আলোক বর্ণমালায় সাজানোর চেষ্টা। সফলতা ব্যর্থতা দুটোই এক্ষেত্রে তুচ্ছ কারণ ওই যে শাক্ত কবির ভাষায় কে জানে কালী কেমন
আলোর বন্যায় হেঁটে চলা জনসমুদ্রের পায়ে পায়ে জীবন সংসার আর সেই জীবন সংসারের যে স্পন্দন তার নামই কালী। সময়কে চেনার নাম কালী, সময়কে জানা কালী আর সময়ের সাথে এগিয়ে যাওয়ার নামও কালী। সৃষ্টির আগে অন্ধকার, পরেও অন্ধকার, সৃষ্টির স্থিতি কালও কালী বই অন্য কিছু নয়।তিনি চঞ্চলা চপলা প্রকৃতি সৃষ্টি সুখের উল্লাসে কালী রূপে বিশ্ব প্রসবিনী আবার স্থিতিকাল তিনিই চৈতন্যময়ী কালী আর সংহার কালে তিনি মহাকালের হৃদয়সঙ্গিনী লাস্যময়ী কালী। বাঙালি তথা ভারতবাসীর কাছে তাই এই কালীর পুজো, এই অন্ধকারের পুজো, এই চরম সত্যের পূজো আলোর রোশনাই দিয়ে উদ্ভাসিত হয়ে আসে আসছে যুগে যুগে পরম্পরার হাত ধরে
প্রাক দীপাবলির শুভেচ্ছান্তে
শাল্যদানী