সম্পাদকীয়

এই হেমন্তের বিকেল নুইয়ে পড়ছে মনখারাপের ভিজে যাওয়া অস্তাচলের যাবতীয় আলোয়। উচ্ছ্বাসে ভাসার সব আলো নিভে গেলে আমরা শুধু অ-সুখই লিখি। লিখি দিনের শেষে ক্লান্তি জড়ানো স্বল্প চাওয়া। এই চাওয়া আর পাওয়ার দৈর্ঘ্য -প্রস্থ বেড়ে ,বেড়ে, বেড়েই চলে।বেড়ে ওঠে এই রুক্ষ বাসের ক্ষয় -ক্ষয় জীবন। এ আমার গণতান্ত্রিক দেশ।স্বাধীন চলায় সাত সাতটি দশকের বেশি সময় পেরিয়েও দেশভাগের ক্ষতে আজও রক্ত ঝরে। সীমান্তের গাছ-গুল্ম আজও বারুদের গন্ধে ঢেকে রাখে শরীর। অভ্যন্তরে আজও রয়ে গেল দারিদ্র্যের চরম কলঙ্ক। কৃষি নির্ভর এই মৃত্তিকা ঋণ-ভারে কৃষকের আত্মহত্যা দেখেছে। ফসলের দাম না পাওয়া প্রান্তিক কৃষকটি পুড়িয়েছে পাকা স্বপ্নসুখ।
বেকারত্ব ছুঁয়েছে আকাশ। ছাঁটাই অস্ত্রে কর্মহীন হচ্ছে মানুষ। এভাবেও দেশ এগিয়ে যায়! ধর্ম-পালক সুড়সুড়িতে আজও “রাজা আসে রাজা যায়”।শুধু আক্ষেপগুলো সঞ্চিত হয়!
আমরা চাই, এই আক্ষেপের ভেতরেও চুঁইয়ে পড়ুক সামান্য মানবিক মুখ।
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।