“প্রাকৃতিক বিপর্যয় সবসময়ই চিন্তার কারণ, এবং অনেক ক্ষয় ক্ষতির কারণ। তবে গতকাল ওই ঝড়ের রাতে আমার বাচাল মন বলে উঠলো, মাঝে মাঝে এরকম হওয়া দরকার। তাতে আমাদের সামাজিক তা সে নাগরিক, মফস্বলি বা গাম্য হোক তারা কতটা সুরক্ষিত বা পরিকাঠামোগত কতটা নিরাপদে বাস করে তা মেপে ফেলা যায়। অনেকটা থার্মোমিটার এর মতো। সরকার আসে সরকার যায়, পরিকাঠামোতে সবাই সেরার দাবিদার। ল্যাবরেটরিতে গতকাল টেস্টিং চলছিলো দাবিদাওয়ার
এই কথাগুলো কখনই কাউকে বলা চলে না। অমানবিক লাগছে বলেও। তবু তুমি তো তুমি, তাই তোমার কাছেই মুখ খুললাম…”
আমফান নিয়ে কথা প্রসঙ্গে কবি প্রভাত চৌধুরীর সাথে এই কথাগুলোই আমি বলেছিলাম।
অতিমাত্রায় স্টেরয়েডযুক্ত ঝা চকচকে বাগানে হাইব্রিড ফুলেরদের আমি ফুল বলেই চিনি। তবে তাদের মিষ্টিমুখ আর বাগানে গজিয়ে ওঠা ফুলগুলোর মধ্যে কত আউন্স চিনির তারতম্য তা আমার জানা নেই। তবে পুরীর যেমন খাজা মিষ্টি তেমনই বাগানের ফুলও মিষ্টি। তাই বলে আমার বাড়ির পাশের বান্টিদের বানানো খাজা মিষ্টি নয়, এমন তো নয়। বান্টির মুখে আমি পুরীর খাজার প্রশংসা শুনি। ও প্রশংসা করতে জানে। তাই বলে দাবি করে না যে এটাই পুরীর খাজা বা তার থেকেও মিষ্টি।
৭২ ঘন্টা থেকে ৯২ ঘন্টা বয়ে যায় কারেন্ট আসে না, জল পাওয়া যায় না। রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী বিদ্যুৎসংস্থার উপর দায় চাপিয়েছেন। বেশ করেছেন। জাতীয় কাজ করেছেন। আমরা কোথায় যাই বলুন তো, ট্যাক্স নেওয়ার বেলায় হাত পেতে নেন, পরিকাঠামোর বেলায় বাচাল কাজের মেয়ের মতো কেন করেন যে প্রতিদিন অজুহাত দেয় কাজে না আসার, অথচ মাইনের দুদিন আগে থেকে ধুম পড়ে যায় কাজে আসার।
গাছে কেবল পাখি থাকে না, কাঠবেড়ালি, সাপ, প্রজাপতি, গিরগিটি, বাঁদুরও থাকে। কেউ ওড়ে, কেউ ওড়ে না। ওদের দলে পিঁপড়েরাও আছে। ওদের কখনও ডানা হয়, কখনও থাকে না। আর আমারা জানি পিঁপড়ের পাখা ঠিক কখন গজায়
মানুষ থেকে মানষিক
মানব থেকে মানবিক
মানষিক আর মানবিক সমার্থক নয় — এই ধ্রুব বিশ্বাস, আশাবাদী নাগরিক সমাজ বুঝতেও পারে না, পারবেও না স্টেরয়েডে ফোলানো শরীরে বাজ পড়ে না, বাজ পড়ে নারকেল গাছে, ফাঁকা মাঠে। আমি লোকসভা বা বিধানসভাকে ফাঁকা মাঠ না নারকেল গাছ বলবো এই বিচারটাই করতে চাইছি। নইলে কোন পথে থার্মোমিটার হাতে অভিসারী হবো বুঝতে পারছি না।