• Uncategorized
  • 0

সাপ্তাহিক শিল্পকলায় – লিখেছেন আলবার্ট অশোক (পর্ব – ৩)

এক কৃষ্ণকায়ের আমেরিকা জয়ের গল্পঃ আশিবছরের পর পেন্সিল আর ক্রেয়ন তুলে নিলেন জীবনকে জয় করবেন বলে। তিনি আজ আমেরিকার হিরো।
ছবি কি করে কথা বলে?
যার বুদ্ধি আছে সেই বুঝতে পারে। ছবি বা কবিতা অন্যান্য আর্টের মতো সরল নয়, যে কিছু সূত্র খুনীর মতো ফেলে যাবে, আপনি সেই সূত্র ধরে আসামীকে ধরে ফেলবেন। কবিতা বা ছবি মিনিম্যালিস্ট এক্সপ্রেশন হতে পারে। কোন সূত্র রাখার স্কোপ নাও থাকতে পারে। আপনাকে বুঝতে হবে সময়ের অবস্থান থেকে আর স্রষ্টা কবির বা শিল্পীর জীবন থেকে বা স্থান থেকে।
এই ছবিটা একজন বুড়ো মানুষের আঁকা। যিনি ছবি আঁকা শুরু করেন আশি বছর বয়স পেরিয়ে। অশিক্ষিত মানুষ।এক কৃষ্ণকায় মানুষের তাচ্ছিল্যতা ভরা জীবনের উপলব্ধি। এই ছবি আর পাঁচটা ছবির মত, নষ্ট হয়ে মাটি হয়ে যেতে পারত। কিন্তু জহুরীর চোখ পড়েছে এই ছবির উপর। মণিমাণিক্যের মত জহুরী তুলে নিয়ে বিক্রী করেছে। হ্যাঁ, কোটি কোটি টাকায়। আজ এই ছবিটা আপনি আর কিনতে পারবেননা কোটি কোটী টাকা দিয়েও। এগুলি মিউজিয়ামের সম্পত্তি। শিল্পীও জানতনা কোনদিন এই ছবি তাকে আমেরিকার ইতিহাসে তার নাম খোদাই করে রাখবে। দেশ বিদেশে তার নাম ছড়িয়ে পড়বে। শিল্পী শুধু তার উপলব্ধি দিয়ে এঁকেছেন। তার আঁকার মেটেরিয়্যাল কস্ট অত্যন্ত নগন্য। একটা কুড়ানো কাগজ, শিল্পীর পয়সা নেই ছবি আঁকার কাগজ কেনার। জামার প্যাকেট বা কোন বস্তুর প্যাকেটের কাগজ বা মলাট খুজে, রাস্তার পাশে বসে পথচারীর নজর আকর্ষণের জন্য চেষ্টা করতেন। ফেলে দেওয়া মলাট জাতীয় কার্ডবোর্ডে তার সরল সাদামাটা ছবি জ্যামিতিক প্যাটার্ণ কিছুটা, আঁকার সরঞ্জাম বলতে একটা পেন্সিল আর একটা ক্রেয়নের টুকরা। আবেগে আঁকেননি। সারাজীবন ধরে যা উপলব্ধি করেছেন তার একটি চিত্ররূপ। কেউ কিনবেই ভাবেননি। তবু ভাবনাটা না এঁকে পারেননি।

একটা বড় কুকুর আর তার মালিক একজন ছোট কেউ। ভাবুন একটা হাতী আর তার মাহুত। হাতীর অনেক ক্ষমতা, মাহুতকে মেরে ফেলার , তবু হাতী কোথায় যেন আটকে পড়েছে, সে মাহুতের সকল অত্যাচার শুনে। ঠিক তেমন। আফ্রিকার কালো মানুষগুলি যখন ক্রীতদাস হিসাবে সাদাসাহেবরা নিয়ে আসত, ঊনিশশতকের গোড়ার দিকে বা অষ্টাদশ শতাব্দীর গোড়ার দিকে, ভাবুন কি গভীর মানবাধিকার লঙ্ঘন হত। ইতিহাস পড়েছেন যখন জানেন নিশ্চয়ই। আর স্কুল কলেজে চাকরি পাওয়ার জন্য পড়াশুনা করে থাকলে পড়লেও ভুলে থাকবেন। নিগ্রোদের ক্রীতদাস জীবন ভয়ঙ্কর ছিল। আমেরিকার ইতিহাসে জিম ক্রো আইন (Jim Crow laws were state and local laws that enforced racial segregation in the Southern United States.), সেগ্রেগেশান(segregation) ভোটের অধিকার ইত্যাদি মানব ইতিহাসে কলঙ্কিত হয়ে আছে। মানুষের প্রতিবাদের বা আওয়াজ তোলার জো ছিলনা। ওই রকম অন্ধকার জীবনের উপলব্ধি। নিগ্রোরা প্রভুভক্ত কুকুরের মতন, আর তাদের সাহেব মালিকের আদেশে নির্দেশের দড়িতে চলা। তখনকার সময়ের একটা দলিল।
পাশের ছবিটা তিনি একটা ভূতকে তাড়িয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। বুঝতে পারছেন ভূত কে হতে পারে? মনের ভিতর রাগকে প্রশমিত করা বা ভাষায় বোঝানো।
ছবিগুলি কৃষ্ণাঙ্গ শিল্পী বিল ট্রেলরের আঁকা। আমেরিকান মিউজিয়ামের সম্পত্তি।

বিল ট্রেলর William “Bill” Traylor (1853–1949) ।
তিনি বিল ক্লিনটনের মতো ফেমাস ব্যক্তি নন বা বহু কোষাগারে চাকরি করা কোন বিল নামের ব্যক্তিও নন। তবু ইংরেজি দুনিয়ার বা আমেরিকান ও ইউরোপিয়ান দেশগুলির মেজর নিউজপেপারে বড় লম্বা লম্বা খবরের শিরোনাম দখল করে রোদ পোহাচ্ছেন। না না, তিনি রোদ পোহাবেন কি করে,প্রায় সত্তর বছর আগে তিনি মারা গেছেন। সরকার তার প্রায়শ্চিত্ত করার জন্য তার একটি স্মৃতি-ফলক স্থাপন করেছেন। সেই স্মৃতি ফলকে রোদ পড়ছে অর্ধশতাব্দী পরে। আব্রাহাম লিঙ্কন, তার ক্ষমতা থেকে, ন্যায় ভাবনা থেকে যা করার করে গেছেন। না হলে বর্ণ বিদ্বেষ পৃথিবীর একটা বৃহত্তর সংখ্যায় সাথে গৃহযুদ্ধ চলত। নরক হয়ে যেত পৃথিবী। বর্ণবিদ্বেষ উঠে গেলেও শ্রেণি সংগ্রাম উঠেনি। এই শ্রেণি সংগ্রাম হাজার রকমের। গ্রাম শহরের, ধনী দরিদ্রের, শিক্ষিত অশিক্ষিতের, আদিবাসী আর দখল দারের, সভ্য অসভ্যের, ধর্মের অধর্মের, আমরা ওরা র, এর শেষ নেই।জাতপাত। সবচেয়ে বিপজ্জনক গাধা-ঘোড়ার মিলিত রাজনৈতিক সন্তানেরা। এ সারা বিশ্বে ছেয়ে গেছে। আর বাংলার আধা, মিডিওকার প্রাতিষ্ঠানিক বুদ্ধিজীবিরা। এদের দর্পে আপনি বাঁচবেননা। ইতিহাস পড়লে বোঝা যায়, আপনি যাকে অবহেলা দিয়েছিলেন, দাম্ভিক হিসাবে যার কাছে দাড়িয়েছিলেন একদিন সেই লোকের পায়ের তলায় আছড়ে পড়বেন।
Blessed is the former slave, for he shall one day be called a master.
Blessed are the unlettered, for they are not burdened with theories of history.
Blessed are the poor, for they make the most of what they are given.
Blessed are the aged, for they can be forever young.
Blessed are the dead, for they are gone. We are on our own now.
—Kerry James Marshall
বিল ট্রেলর,১৮৫৩/৫৪তে আমেরিকার আলবামায় an Alabama cotton plantation near the town of Benton তূলা চাষীদের ঘরে জন্মান একজন আফ্রিকার ক্রীতদাস হিসেবে। এই তূলা চাষ জমি ছিল জন ট্রেলর নামে একসাহেবের John Traylor in Dallas County, Alabama। তার যখন ১২ বছর বয়েস তখন আমেরিকার গৃহযুদ্ধ থামে। এরপর ক্রীতদাসত্ব থেকে মুক্তি পেলেও জীবন শূন্য কড়ি। ওখানে ভাগচাষী হিসাবে ১৯৩০ সাল অবধি থেকে, চলে যান মন্টগোমারিতে যেখানে আফ্রিকা থেকে আমদানী করা ক্রীতদাসেরা ঘিঞ্জি বস্তি করে থাকে। তার মাথার উপর দিয়ে আমেরিকার ইতিহাসের টালমাটাল বেড়ে উঠা তিনি দেখেছেন। নগন্য অবহেলিত কালো মানুষ, একজন সাদা মানুষের মত অধিকার বা আইন সুবিধা তার ছিলনা। slavery, Reconstruction, Jim Crow and the Great Migration and foreshadowed the era of Civil Rights। মন্টগোমারিতে গৃহহীন হয়ে দিনকাটিয়েছেন। শরীর চলছিলনা, অসুস্থ হয়ে ধুঁকতে ধুঁকতে জীবন কাটিয়েছেন।
একজন স্বশিক্ষিত শিল্পী। ৮৫ বছর বয়সে ফেলে দেওয়া কার্ড, কার্ডবোর্ড সাথে পেন্সিল ও কিছু ক্রেয়ন নিয়ে আঁকিবুকি করেছেন, সারাজীবন যা দেখেছেন। ক্রীতদাসদের জীবন, ক্রিদাস থেকে মুক্তি পাওয়ার পরের জীবন। ভাগ চাষীর জীবন। আলবামার মন্টগোমারির মনরো স্ট্রিটে। প্রায় ১৫০০ ছবি তিনি এঁকেছিলেন।
১৯৪০ সালে একবার তার জীবদ্দশায় প্রদর্শনী হয়। তারপর তার ৩০ বছর, মৃত্যুর পর,.১৯৭০ সালে দেখা গেল আমেরিকাতে তার ছবি নিয়ে মানুষ চর্চা করছে। এর পিছনে একজন শার্ল শ্যানন বলে ব্যক্তি, প্রভাবশালী, যিনি আমেরিকার আধুনিক আর্ট ও লোক শিল্প প্রমোট করেন, তিনি ১৯৪০ সালে একবার ট্রেলরের সাথে দেখা হয়েছিল ও তাকে ৩০ বছর মনে রাখেন। বিল ট্রেলরকে খুব সহজে আমেরিকার দর্শক মেনে নেয়নি। অনেক রাজনীতি সেখানে খেলে। প্রথমে তাকে বলা হল, আদিম শিল্পী পরে বলা হল তিনি বাইরের শিল্পী।আমেরিকা শিল্পী নন।
বিলের জীবন দারিদ্রতা পূর্ণ। তবু এর মধ্যে তার প্রেমপ্রণয় চলেছে। বিল ট্রেলর ৩১ বছর বয়সে, ১৮৮৪এ লারিসা ডাঙ্কলিন ( জন্ম ১৮৭২) বলে একজন ১২ বছরের কিশোরিকে নিয়ে পরিবার বানান, তাদের ৮টি সন্তান হয় George, Pauline, and Sally, Rueben, Easter, Alice, Lillian, আরেকজনের নাম পাওয়া যায়নি। ১৮৮৭ তে অন্য একটি সম্পর্ক গড়ে তার একটি মেয়ে হয়, নেটি Nettie নামে। ১৮৯০ সালে, ৩৭ বছর বয়সে লরা উইলিয়ামস Laura Williams (1870-) বলে ২০ বছরের আরেকজনকে বিয়ে করেন , তাদের সংসারে আরো ৫ জন Clement, Will, Mack, John Henry, and Walter জন্মান। ১৯০২ সালে আরেকটি মহিলার গর্ভে জন্মায় জিমি Jimmie। কিন্তু শোনা যায় বিলের ২০টি ছেলেমেয়ে, এবং তিনি তাদের বড় করেন। ৭৫ বছর অবধি তার চাষার জীবন কষ্টে সৃষ্টে চলে গেছে। ১৯২৮ সালে মন্টগোমারির শহর ছেড়ে দেন, দিয়ে গ্রামের দিকে চলে আসেন।তার ছেলে পিলেরা সব ছড়িয়ে ছিটকে গেছে। তার সাদা মালিকেরা মরে গেছে। গ্রামের দিকে গিয়ে একটি ছোট ঘর ভাড়া করে থাকেন। রোজগার হচ্ছিলনা। একটা জুতার কারখানাতে কাজ করতে করতে পায়ে বাতের অসুখ ধরল। তারপর অর্থের অভাবে রাস্তায় থাকা শুরু হল। গৃহহীনদের তালিকায় নাম লিখিয়ে কিছু মাসোহারা পেতেন। রাতে একটি শ্মাশানের অফিসের পিছনে শুতেন। দিনে মনরো স্ট্রিটে আফ্রিকা আমেরিকা সমাজের একটি অফিসের কাছে বসতেন। তখন তার বয়েস ৮৫/ ৮৬। শার্ল শ্যানন তখন অনেক তরুন সাহেব শিল্পী। তিনি দেখতেন ট্রেলর কি করে আঁকেন। শ্যানন ট্রেলরের কাজ ও কারিগরি দেখে অনুপ্রাণিত হন ও তার কাজ আরো উন্নতি হচ্ছিল।ফলে তিনি ট্রেলরকে কিছু আঁকার সরঞ্জাম poster paints, brushes, and drawing paper. কিনে দিতে শুরু করেন। দুজনের বেশ বন্ধুত্ব হয়। ১৯৪০ সালে এই শার্ল শ্যাননের পয়সায় ট্রেলরকে New South, a cultural cente এ একটা প্রদর্শনী করে দেন।”Bill Traylor: People’s Artist.” এই শিরোনামে। এরপর ১৯৪২ এ “Bill Traylor: American Primitive (Work of an old Negro)”.শিরোনামে the Ethical Culture Fieldston School in Riverdale, New York একটি সংস্থা আবার তাকে আদিম আফ্রিকার শিল্পী বলে প্রদর্শনী করিয়ে দেয়।
কিন্তু ঘটনা এমনই তার কোন ছবি বিক্রী হয়নি। অনেক পরিচিতি আমেরিকার পত্রপত্রিকা করে দিল। আমেরিকার মিউজিয়াম অব মডার্ণ আর্ট এর ডিরেক্টর ব্যক্তিগত ভাবে দু একটা এক ডলার করে কিনতে চেয়েছিল মিউজিয়ামের সংরক্ষনের জন্য কিন্তু সেটিও কাজে এলনা পরে।
১৯৪২ এর পর শিকাগো ডেট্রয়েটে তে তার ছেলেমেয়েদের সাথে থাকতে শুরু করল। তখন গ্যাংগ্রীন হয়ে গেছিল তার পা বাদ দিতে হয়েছে ১৯৪৬ এ আবার তিনি মন্টগোমারিতে ফিরে এলেন তার কণ্যার কাছে সেখানেই ওক স্ট্রিট হাসপাতালে মারা যান তাকে মাউন্ট মোরিয়া সিমেটারিতে কবর দেওয়া হয়। কোন মার্ক বা সমাধি শিলা ছাড়াই।
একটা জীবন, ক্রীতদাসের ঘরে জন্মানো। চাষী ও শ্রমিক হয়ে সংসার চালানো, মানবিক অসাম্যতা। মানুষের অসহায় দুঃখকষ্টের জীবন সাহেবদের জীবন ইত্যাদি সকল কিছু যা জীবনে দেখেছেন, তাই তিনি তার আশী বছরের পর বয়সে পেন্সিল আর ক্রেয়ন দিয়ে আঁকা শুরু করেন। পন্ডিতগন তার আঁকাতে অনেকগভীর জীবনের অনুভূতি খুজে পান। প্রথম দিকে তার ছবি বিক্রী হলে তাকে কষ্টে মরতে হতনা। কিন্তু তার ছবি আজ অমূল্য সম্পদ আমেরিকা সাংস্কৃতিক বিখ্যাতদের পাশে বিল ট্রেলর এক ঐতিহাসিক নাম। একটা বিশেষ ধারার সংরক্ষনের কাজ।
আগামি বছর, বিল ট্রেলরের প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে the Smithsonian American Art Museum, SAAM ওয়াশিংটনে (8th and F Streets, NW), Washington, DC 20004, United States সেপ্টেমবরের ২৮ থেকে from September 28–March 17, 2019 ২০১৯ শের মার্চ ‘ Between Worlds: The Art of Bill Traylor ‘এই শিরোনামে ফলে চারিদিকে মেজর পত্রপত্রিকাগুলি বিল ট্রেলরের জীবন ও ছবি প্রকাশ করছে। আজ সে আমেরিকার বড় হিরো। জীবদ্দশায় রাস্তায় পড়ে খাওয়া জুটেনি। মারা গেলেন চিকিৎসার অভাবে। শিল্পী জীবন , এক অভিশাপ! কেউ কেউ বাঁকা বুদ্ধিতে নির্ভর করে আবার আশির্বাদও পেয়েছেন।
যারা শিল্পী হতে চান তাদের কাছে বিল ট্রেলরের জীবন। অনুপ্রেরণার। এখান থেকে কিছু জিনিস লক্ষ্য করা যায়ঃ
১। জীবনের যে কোন বয়েস, ১৮ থেকে ৮০ বছর, শরীর শক্ত থাকলে কোন বিদ্যা – বিশেষ করে – শিল্প , রপ্ত করা যায়।
২।ছবি আঁকার জন্য, যারা আঁকা জানেননা কোনদিন অভ্যেস করেননি, তারাও ছবি আঁকতে পারেন।
৩। ছবি মৌলিক হলেই তার মূল্য হয়। ছবির বিষয় বস্তু পুরোটাই নিজের মনের কথা বা উপলব্ধির কথা হওয়া বাঞ্ছনীয়
৪। আপনাকে সভ্যসমাজে রেখে কাউকে আলোকপাত করার একজন চাই। ( আপনার ছবিতে কিছু না থাকলে, পুরোটাই বৃথা , ও তাকে টাকা ঢেলেও প্রমোশন হবেনা।
৫।ছবি আঁকার জন্য গ্রামার, বা দামী দামী মেটেরিয়ালস / উপকরণ দরকার বা গুরুত্ব পায়, এমন নয়। বা অপরিহার্য নয়।
বিল ট্রেলর একজন অশিক্ষিত লোক ছিলেন। তার কাজ লোকশিল্পের পর্যায়। এরকম রুপকল্প সবাই আঁকতে পারে। কিন্তু তার উপলব্ধি, একজন ক্রীতদাসের জীবন ও সামাজিক মূল্যবোধ তার ছবিতে মহত্ব এনে দিয়েছে। আপনিও জীবনের মহত্ব বা কিছু মৌলিক আবিষ্কার করুন।

(চলবে)

ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।