উত্তরপ্রদেশের উন্নাও যেন এখন ধর্ষনের রাজধানী। স্থানীয়দের মতে, অপরাধীদের স্বর্গরাজ্য এখন এই উন্নাও। তাদেরই মত পুলিশি হিসাবের বাইরেও, লোক লজ্জার ভয়ে অধিকাংশ যৌন হেনস্থার ঘটনা পুলিশ অবধি যায় না। প্রায় প্রতিদিনই একটা করে যৌন হেনস্থার ঘটনা ঘটেছে উন্নাওতে। এতো গেল উন্নাও, আর বাকি উত্তরপ্রদেশ? স্থানীয়দের বক্তব্য, উন্নাওয়ে যারা মাহিলাদের ওপর আক্রমন করে, তাদের রাজনীতিতে কাজে লাগানো হচ্ছে। বা বলা যেতে পারে তারা কোনো না কোন ভাবে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। আর তাই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে না প্রশাসন। হাতে গোনা কয়েকটি ঘটনা ছাড়া বাকি সব চাপা পড়ে যাচ্ছে, কখন তা পুলিশি হুমকিতে, কখনও বা রাজনৈতিক চাপে। কিন্তু বর্তমানে, হায়দ্রাবাদ আর তার পরে পরে উন্নাও একই রকম ঘটনা- আর তাই উনাও যেন এখন সংবাদের শীরোনামে।
গত মার্চমাসে পাঁচজন মিলে ধর্ষন করে তেইশ বছররে এক তরুণীকে। ধর্ষিতার অভিযোগের ভিতিতে পুলিশ তিনজনকে গ্রেফতার করলেও বাকি দুজন ফেরার। গত সপ্তাহে জামিনে ছাড়া পায় অভিযুক্তরা।
গত বৃহস্পতিবার এই ধর্ষনের মামলায় শুনানির জন্য তরুনী যখন আদালতে যাচ্ছিলেন, রেল গেটের কাছে, তার রাস্তা আটকায় ওই পাঁচ অভিযুক্ত। তাকে টেনে হিজড়ে পাশের ধান ক্ষেতের মধ্যে নিয়ে যায় তারা। সেখানেই তার গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন দেওয়া হয়। সিনেমার মত শোনালেও, এইটাই বাস্তব। দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে সেই দগ্ধ তরুণীর মৃত্যু হয় শুক্রবার রাতে। হায়দ্রাবাদের তরুণী ধর্ষন,এনকাউন্টার আর তার পিঠোপিঠিই এই ঘটনা। গোটা দেশ জুরে তীব্র অসন্তুষ্ট ও ক্ষুব্ধ মানুষ।
যদিও হায়দ্রাবাদে এনকাউন্টার কিছু লোকের “আমানবিক ঘটনা” মনে হলেও কেউ কেউ তৃপ্ত হতে না হতেই আবার। এবারও কি তাহলে এনকাউন্টার? নাকি অন্য কিছু! আর অন্য কিছু হলেই বা কি? কি বা হবে তাতে- সাময়িক তৃপ্তি পাবে আপামর ভারতবাসী, নাকি শান্তি পাবে মেয়েটার আত্মা, নাকি চিরকালের জন্য মিথ্যে হয়ে যাবে “আমিই সেই মেয়ে” কবিতাটা-
আমাদের কাছে আজ দারু আর চিনি মিলেমিশে একাকার।