অবশ্যই রুই মাছ বা অন্য কোনো বড় মাছের মুড়ো এবং ল্যাজা ও আরো একটি দুটি মাছের টুকরো।
গোবিন্দভোগ, বা কোনো সুগন্ধী ভালো চাল- আধা কাপ।
আদা- রসুন বাটা- এক চামচ করে।
পেঁয়াজ সরু করে কেটে নেওয়া- আধা কাপ।
গোটা গরম মশলা- একটি দুটি।
কাজু- কিশমিশ- কয়েকটি।
আলু ডুমো করে কাটা-কয়েক টুকরো।
লঙ্কা, হলুদ, জিরে গুঁড়ো- এক চামচ করে।
তেজপাতা- একটি।
ট্যমেটো- দুটি। চারভাগে কাটা।
লেবুর রস- এক চামচ।
শুকনো লঙ্কা- একটি।
তেল- বড় এক চামচ।
জায়ফল গুঁড়ো- আধ চামচ।
ঘি- এক চামচ।
নুন- পরিমাণ মত।
চিনি- এক চিমটে।
গরম জল- পরিমাণ মত।
প্রণালী
মুড়ি ঘন্ট বানাবার আগে রুই মাছের মুড়ো ও অন্যান্য অংশ লেবুর রস ও নুন দিয়ে মিনিট দশেক মেখে রেখে ধুয়ে ফেলুন। এতে করে মাছের আঁশটে গন্ধ চলে যাবে।
চাল ধুয়ে জল ঝরিয়ে নিন।
আধা চামচ তেলে কাজু কিশমিশ অল্প ভেজে তুলে রাখুন।
চাল হালকা ভেজে তুলে রাখুন।
আলু ভেজে তুলে নিন।
এবার রুইয়ের মুড়ো এবং বাকি টুকরোগুলি আলগা হাতে ভেজে নিন। কড়া করে ভাজবেন না, তাতে মাছের স্বাদ এবং গুণ দুটি ই চলে যাবে। মুড়োটি খুন্তি দিয়ে ভেঙে দিন।
বাকি তেল যোগ করে অর্ধেক পেঁয়াজ লাল করে ভেজে তুলে নিন।
সেই তেলেই শুকনো লঙ্কা, তেজপাতা আর আস্ত গরম মশলা ফোড়ন দিন।
সুগন্ধ বেরোলে তাতে বাকি পেঁয়াজ কুচি দিন।
পেঁয়াজ ভাজা হলে দিন আদা, রসুন বাটা।
কষিয়ে নিয়ে ট্যমেটো দিন তাতে। নুন দিন।
ট্যমেটো গলে গেলে হলুদ, লঙ্কা, জিরে গুঁড়ো দিন তাতে।
এবার ভাজা চাল আর আলু দিয়ে খুব করে নাড়ান।
গরম জল দিয়ে ঢাকা দিয়ে দিন।
আলু এবং চাল যখন প্রায় সেদ্ধ হয়ে উঠবে তখন মাছের মুড়ো এবং অন্যন্য অংশ মেশান তাতে।
যখন চাল ফুটে উঠবে এবং আলু, মাছে, ভাতে বেশ একটা মাখোমাখো প্রেম দেখা যাবে তখন ভাজা পেঁয়াজ, কাজু, কিশমিশ, চিনি, ঘি, জায়ফল গুঁড়ো ছড়িয়ে শেষবারের মত নাড়িয়ে পরিবেশন করুন।