সব সম্পর্কের কাছে ঋণী হতে নেই, ঋণ বেড়ে যায়, মানুষ সস্তা হয়ে যায়। নৈতিক ভাবে আমরা কেউই হান্ড্রেড পার্সেন্ট সৎ ভালো ভদ্র মানুষ নই, আমাদের জীবনের এমন কিছু ডার্ক স্টোরি আছে, যার হদিস আমরা কাউকেই দিতে চাইনা।
তাই সবজায়গায় কৃতজ্ঞতা বশত গোটা জীবন পড়ে থাকা যায় না। আমাদের কেউ মাথার দিব্যি দেয়নি সবসময় নিজেকে ভুলে আত্মত্যাগী মহান হতেই হবে!!
এক একসময় ইচ্ছে করেই ভুল করতে হয়, স্বার্থপর হতে হয় নিজেকে ভালো রাখার জন্য, প্রতিটা সম্পর্কে গাছ হতে নেই, বরং শিকড় উপড়ে চলে যেতে হয়।
জীবনের একটা সময় পর্যন্ত আমরা কাউকেই ইগনোর করতে পারিনা, “না” বলতে পারিনা, সব্বাইকে স্বাগত জানাই নিজেদের লাইফে, তারা প্রথমে ভরসার কাঁধ এগিয়ে দেয়, তারপর গোটা জীবন তাদের কাছে আটকে রাখতে চায়।
তাই একটা বয়স পেরিয়ে যাওয়ার পর সবাইকে আর গুরুত্ব দিতে পারিনা খুব সিলেক্টেড মানুষ ছাড়া, চমৎকার ভাবে “না” বলতে শিখে যাই, এড়িয়ে চলতে শিখে যাই।
প্রত্যেকেই বুঝে যায় হয়তো প্রতিটা সম্পর্কই আসলে নিজেকে সেলফ স্যাটিসফায়েড করার মাধ্যম মাত্র। এক একটা সম্পর্কের ভেতর ঢুকলে মানুষ নিজেকে অতিমানবীয়, মহৎ, প্রমাণ করার চেষ্টায় অন্ধকারের কারখানায় বসে অন্যকে আলো দিতে চায়….
নিজে না খেয়ে অন্যের মুখে খাবার তুলে দেয়, নিজেরা রোদজলঝড়ে ভিজে অন্যের মাথায় ছাতা ধরার চেষ্টা করে, যেটা অসম্ভব আসলেই…
যে নারীর বুক ফেটে দুধ বেরোয় না, সে নারীর কাছে অধিকাংশ পুরুষ স্রেফ বীর্য নিক্ষেপ করে, খুব কম পুরুষ সামাজিক সেন্সর বোর্ডের ধারণা ভেঙে মাথায় তুলে নাচানাচি করে তাদেরকে…
যে পুরুষ অর্থনৈতিক দিক থেকে স্বচ্ছল হয় না, সেই পুরুষকে প্রেমিক হিসেবে অনেক মেয়েই নিজের জীবনে মেনে নিতে পারে না…
মানুষ বয়স বাড়লে বড় হয়, আর অবহেলাব্যর্থতাঅপমানে ম্যাচিউরড…
তাই বড় নয়, পরিণত হও, সবার কাছে ঋণী হতে নেই, বেরিয়ে যেতে হয়…