বেহুলার থিমে জমজমাট বেহালার আর্ট কলেজ
মনসামঙ্গল এ আছে লখিন্দরের নিথর দেহ নিয়ে নেতা ধোপানির ঘাটে গেছিলো বেহুলা। যে জনপদ দিয়ে বেহুলা পার হয়েছিল তার নাকি বর্তমানে নাম বেহালা। আলো ও তুলির টানে সেজে উঠেছে ১৮ নম্বর বাসস্ট্যান্ডের রায়বাহাদুর রোড। চায়ের দোকান থেকে ফ্ল্যাটবাড়ির দেয়াল, রংয়ের ছোয়া থেকে বাদ যায়নি কিছুই। শিল্পীর তুলির টানে যেন প্রাণ প্রতিষ্ঠা হয়েছে প্রতিটা কোণায়। ছবি, আলো, স্লোগান মিলে যেন এলাহি ব্যাপার।
এখানকার প্রাচীন ঐতিহ্য ধরে রেখেই তাই আর্টফেস্ট-এর আয়োজন করেছে নতুন সংঘ। স্থানীয়রা অনেকেই জানতেন না বেহালার নামকরণের কারণ। এই আর্ট ফেস্টিভ্যাল এর নামও রাখা হয়েছে বেহুলা। কলকাতার প্রায় সব বড়ো শিল্পীরাই অংশ নিয়েছিলেন এই আর্টফেস্টিভেলে। হাতে আঁকা ছবি ছাড়াও স্লোগান এর মাধ্যমে বিভিন্ন সমস্যাও তুলে ধরা হয়েছিল। সবেতেই রয়েছে রূপকের ছোঁয়া। এই অনুষ্ঠানে ভবতোষ সুতার মল্লিকা সুতার, প্রদীপ দাস, বিমল সামন্ত, বিশ্বনাথ দে ও পার্থ দাশগুপ্ত প্রমুখ শিল্পী অংশগ্রহণ করেন। ছিল ফোক গানের আয়োজন। সব মিলিয়ে একদম জমজমাট ব্যাপার। ক্লাব এর সদস্যরা সুবর্ণ জয়ন্তীর বছর স্মরণীয় রাখতে এমনকিছু করতে চেয়েছিলেন যা দাগ কেটে যাবে শুধু বেহালার মানচিত্রে নয় কলকাতার ইতিহাসে।
শ্রেয়সী কাঞ্জিলাল