তখন সন্ধ্যে নামছে তার চুল বেয়ে, সমস্ত শহর জুড়ে। নামতে নামতে ঘাড়ের কাছটায় কিছুটা থমকে দাড়ালো, ওখানটায় জমাট বেধেছে কিছু উদ্দেশ্যহীন মেঘ, কিছুটা তুলো। তারপর তার কানের পাশের মেঘ সরিয়ে উকি দিলো তার স্বপ্নমাখা চোখে, যে চোখের পাতায় তখন গলে পড়ছে সময় একটু একটু করে, চুঁয়ে।
সন্ধ্যে যখন এসে পৌছালো তার যন্ত্রণা আগলানো ঠোঁটের পাশটায়, শুনতে পেলো ফেলে আসা বসন্তের সেই বাউল গান। যে গানের মেঠো গন্ধ সন্ধ্যের নিস্তব্ধতায়, মহুয়া ফুলের চেয়েও প্রবল নেশা সৃষ্টি করছিল।
আস্তে আস্তে সন্ধ্যে নামলো তখন তার সমস্তটা জুড়ে, খুব চেনা কোনো প্রাক্তন প্রেমিকের মতন। সেখানে তখনও অসময়ের তুষারপাত, বরফ জমায় অবাধ্য ‘ভলক্যানো’ ঘিরে। আর হারিয়ে যায় শহরের সমস্ত কোলাহল কিছু আদিবাসী দামামার সুরে।
দুরে একদল জোনাকি উড়ে বেড়াচ্ছিল, ঠিক ট্রামলাইন ধরে। ওদের যেন সন্ধ্যের শহরটাকে সাজানোর দায়িত্ব দিয়েছে কেউ। কংক্রিটের শহরে কয়েক মুঠো ঘাস যখন তোমার স্পর্শে বৃষ্টি ভেজার সুখ খুঁজে বেড়াচ্ছিল? আমি খুঁজছিলাম আমার লাল আঘাতে ভেজা সেই কবিতার খাতাটাকে, তোমায় এ সন্ধের কবিতা করবো বলে।