কবি তুমি কিভাবে এমন লেখ?
প্রশ্ন শুনে মুচকি হাসে কবি।
বলে এইতো, কখনও শব্দ উড়িয়ে দিই, কখনও বা দিই ভাসিয়ে। জ্যোৎস্না পাহাড়ে ছোট্ট একটা কুঁড়েঘর আছে কবির। শব্দগুলো গুঁড়ো গুঁড়ো চাঁদ হয়ে সে ঘরের ছাউনি বিছিয়েছে। আবার ভোরবেলায় শালুক জলে ভেসে থাকে, নরম শিশিরে মিশে কোনো কোনো শব্দ।
এইভাবে রাত, দিন কেটে গেলে একসময় শব্দ হয়ে ওঠে একপাহাড় দুঃখ, কিম্বা একসমুদ্র ভালোবাসা।
কিন্তু কবির সেই ঘরে সবার ঢুকতে মানা।
হাজার বারণ সত্ত্বেও নারী গেলো জ্যোৎস্না পাহাড়ে। সবুজ, শান্ত পাহাড়।
সেখানে নির্লিপ্ত ধ্যানমগ্ন কবি। তারা’রা সেই সবুজে আত্মহত্যা করে স্বেচ্ছায়, সুবাসে জন্ম নেয় নাভীমুক্ত।
জীবনের নোনতা স্বাদে সৃজিত হয় উপত্যকা। নারীর ওমে আখর সাজিয়ে
পিদিম জ্বলে কবিগৃহের কুলুঙ্গিতে।