• Uncategorized
  • 0

“পুরুষ” নিয়ে বিশেষ সংখ্যায় অমিতা মজুমদার

“একলা পুরুষ কর্তব্যে
একলা পুরুষ পিতায় “

এই খন্ডিত সত্য নিয়েই চলছি আমরা। বিশেষ করে ভারতীয় উপমহাদেশে এটাই পূর্ণসত্য। সৃষ্টিই যেখানে থেমে যায় একলা পুরুষের হাতে সেখানে আমরা মানুষেরা সেই একলা পুরুষকেই বিধাতার আসনে বসিয়ে তার উপরে সকল দায় চাপিয়ে নিশ্চিন্তে বসে আছি । সে দায় পালন করতে করতে পুরুষ নিজেই কখন নিজেকে বিধাতা মেনে বসে সে নিজেও জানেনা।
নারীর গর্ভে জন্ম যে পুরুষের সে ভুলে যায় তার জন্মের ঋণ। হয়ে পড়ে নারীর প্রভু।পিতা মানে প্রভু নয়,পতি মানে প্রভু নয়,পুত্র মানেও প্রভু নয় ।
এক পায়ে হেঁটে যেমন বশি দূরে যাওয়া যায়না তেমনই একলা পিতা কি পারে একজন সন্তানের সমস্ত দায় বা মানসিক চাহিদা পূরণ করতে ? তবুও আমরা পিতাকেই দেই সবটুকু কৃতিত্ব । যেমন সন্তান যখন কোন ভালো কাজ করে তখন পিতা গর্বভরে বলে আমার সন্তান,সেই সন্তান যদি ব্যর্থ হয় কোন কাজে বা কোন অন্যায় করে তখন পিতা অবলীলায় বলে তোমার সন্তান।
একটি ঘরের কাঠামোর উপরে যেমন দাঁড়িয়ে থাকে ছাদ বা চালা, পিতাও হয়তো তেমনই। কিন্তু শুধু কাঠামোর ঘরে কি বাস করা যায়? যদি তার ছাদ বা চালা না থাকে? রোদ বৃষ্টি ঝড়ে তো চালা বা ছাদই রক্ষা করে।আবার কাঠামো ছাড়া কি ছাদ বা চালা দাড়াতে পারে ? তাই একলা পুরুষ পিতায় বা কর্তব্যে কোথাওই যেমন পূর্ণ নয়,তেমনই একলা নারীও পূর্ণ নয়। তাই দুজনকেই আমরা যদি মানুষ হিসেবে বিচার করি তাহলে হয়তো এমন “একলা” শব্দের প্রয়োজনই পড়বেনা।
বিষয়টি নিয়ে পন্ডিতজনেরা তাদের যুক্তি নির্ভর বক্তব্য রাখবেন । আমি একেবারেই সাদা চোখে দেখার চেষ্টা করি সবকিছু। আর সহজভাবেই তা প্রকাশ করার চেষ্টা করলাম।
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।