ছোট্ট ভাতঘুমের ভেতর হামাগুড়ি দিতো
আমাদের সব হুটোপুটি
ইস্কুল ফেরত পাঞ্জাবির পকেটটির দখল ছিল আমার
সেখানে লুকোনো থাকত কামরাঙা রোদের আলোয়
মুড়ে রাখা লজেন্সের গন্ধ
বুক পকেটে ভর্তি ইতিহাসের জানালা
খুলে দিলেই গলে পড়ত গোটা একটা মুঘলসাম্রাজ্য
এগুলি দিয়ে অনায়াস হত খুব এ প্লাস বি
হোল স্কোয়ারের সূত্র মনে রাখা
এক টুকরো দাওয়ার রোদ মাখতে মাখতে
দামি ফ্লেভারড মাকাইবাড়ি চায়ের স্বপ্ন দেখতেন বাবা
আর চোখদুটো পাখি হয়ে যেত
যেদিন বাবার স্বপ্ন দেখার চোখদুটো হঠাৎ
পাথরের মত স্থির হয়ে গেল
হারিয়ে গেল সেই চেনা লজেন্সের গন্ধ
বুকপকেটে অস্পষ্ট হলো ফাউন্টেন পেনের দাগ
বাবাকে আর মাকাইবাড়ির ফ্লেবার
দিতে পারিনি কোনোদিন
সরল বীজগণিতের সুত্র দিয়ে
সাজিয়ে ফেলেছি ড্রয়িংরুমের আসবাব
দেয়ালে দামী পোর্ট্রেট
আজ অনেকদিনপর সেই মাকাইবাড়ির চায়ের গন্ধে
মিশে যাচ্ছে পকেট ভর্তি লজেন্স,
মুঘল সাম্রাজ্যের অলিগলিতে
রাজকন্যার কাঁচের চুড়ির রিনরিন শব্দ,
আর পোট্রের্ট থেকে উসখুস করছে
দুটো পাথরের চোখ