• Uncategorized
  • 0

পাকিস্তানের কাটাসরাজ শিব মন্দির, সেখানেই আছে মহাদেবের অশ্রু দিয়ে তৈরি ‘চশমে আজম’

নিথর দেহ সতীর তাই নিয়ে কাঁধে করে প্রলয় নৃত্য নেচে চলেছেন দেবাদিদেব মহা দেবে। দুলছে স্বর্গ থেকে মর্ত দেবতারা ভয়ে তটস্থ। মহাকালের হাতে ছিল প্রলয় চাকা যা কেবল ঘুরে চলেছে।
দেবতারা বুঝলেন ত্রিভুবন নিশ্চিত ধ্বংস হবেই তাই বিষ্ণু এগিয়ে এলেন তার চক্র হাতে নিয়ে সতী দেহ ছিন্ন করতে। রক্তচক্ষু মহাদেব এর চোখ থেকে গড়িয়ে পড়লো দুফোটা চোখের জল। প্রথম ফোটা জল পড়লো আজমের এ যেখানে তৈরি হলো
হিন্দুদের পবিত্র তীর্থ পুস্কর। অপর ফোঁটা পড়ল, বর্তমান পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশের চকওয়াল জেলার সল্ট রেঞ্জ, কাল্লার কাহার-এর নামক এক ঊষর পাহাড়ি ভূখন্ডে।সৃষ্টি হলো কাটাসকুন্ড নামক পবিত্র কুন্ডের। চোখের জল মানে নাকি কাটাস আবার কেউ অমৃত কুন্ড বলেন। ওখানকার স্থানীয় বাসিন্দারা
চশ্মেআজম নাম দিয়েছে। কুণ্ডের টানে শত শত বছর ধরে মানুষ ছুটে আসছেন। শিবের চোখের জলে অবগাহন করলে পাপমুক্তি হবে ও মুক্তি পাওয়া যাবে এই বিশ্বাস তাঁদের।
১৯৯২ সালের বাবরি মসজিদ ধ্বংস হওয়ার পর উত্তেজিত পাকিস্তানি জনতা কাটাসরাজের মন্দির ভেঙ্গে ফেলার চেষ্টা করে। সমস্ত আক্রোশ গিয়ে পড়ে হনুমানের মন্দির ও বিগ্রহের উপর। লুকিয়ে রাখতে হয় বিগ্রহ দুটিকে। কিন্তু অদ্ভুত ভাবেই অক্ষত থেকে যান কাটাসরাজ শিবলিঙ্গটি । এরপর অযত্নে পড়ে থাকে কাটাসরাজ মন্দির। কুণ্ডটির আশপাশ, মন্দির চত্বর গাছে জঙ্গলে ভরে যায়। নেশাখোরদের আস্তানা হয়ে ওঠে বলে মনে জানা যায়।
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।