আমি খুব ভালোই জানি আমার দৌড়। তাই পণ্ডিতদের থেকে সবসময় শত হাত দূরে থাকি। তাদের আমার মনে হয় আস্ত একটা পাথরের বই। সবকিছু আছে তার মধ্যে। কিন্তু উপাদানটা পাথরের। বইকে তো আমি আমার নিজের মতো সরস করে নিতে পারি। কিন্তু পণ্ডিতের বেলায় সেটি হবার নয়। তারা সেই সুযোগ আমাকে কোনোদিনই দেবেন না ; যদি ওজন কমে যায় —— এই আশংকায় তাঁরা দিবারাত্রি ভোগেন।
১১
মুদিখানার দোকানে আজও আমার সামনে কেউ মগজ-দানার খোঁজ করলে আমি আগে তাকে ভালো করে দেখি। তারপর নিজের মাথায় ভালো করে হাত বোলাই। বাড়িতে এসে আয়নার সামনে দাঁড়াই। খোঁজ করার চেষ্টা করি কোথায় মগজ।
১২
আজও গ্রামের রোদ্দুর আঁকা মাঠ দেখলে মনে হয় সব কিছুর হাত ছাড়িয়ে তোমার কাছে চলে যাই। মুহূর্তে সব কিছু মিথ্যে হয়ে যায়। কত গ্রামে গ্রামে ঘুরে বেড়ালাম, রোদ্দুরের মাঠে শুয়ে রইলাম কিন্তু তবুও আমার দেখা শেষ হলো না। হঠাৎ করে কোনো ছবিতে এমন রোদ্দুর মাঠ যদি দেখতে পাই আমার চোখে জল আসে। প্রিয় মানুষকে দেখতে না পেলে মানুষ কাঁদে। আমার চোখে রোদ্দুর মাঠ কি মানুষ? আমি বলি তার থেকেও অনেক বেশি। আমি ঠিক বুঝিয়ে বলতে পারব না।