প্রধানত যে রাগে টপ্পা, ঠুমরী গান বেশী প্রসিদ্ধ সেই রাগ খাম্বাজে রবীন্দ্রনাথ লিখলেন তার এই পূজা পর্যায়ের গান।
রাগ খাম্বাজ যে রাগে উভয় ‘নি’ ব্যাবহৃত হয়ে থাকে।আরোহতে শুদ্ধ ‘নি’ এবং অবরোহ তে কোমল ‘নি’ ব্যবহৃত হয়ে থাকে।এই রাগে আরোহতে ‘রে’ বর্জিত অথচ অবরোহ তে সাতটি স্বপেরই ব্যবহার হয়ে থাকে।এই রাগ গাইবার সময় রাত্রি দ্বিতীয় প্রহর।
খাম্বাজ রাগে ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের প্রায় সকল ঘরানা তেই নিজস্ব নিজস্ব শৈলী কে ব্যবহার করে বন্দিস এবং তাছাড়া আলাপ, তাড়ানা তৈরী হয়েছে ।
খাম্বাজে সৃষ্ট ভজন আমরা প্রায় সকলেই শুনেছি।
‘বৈষ্ণবজন তো’ তারই মধ্যে অত্যন্ত প্রসিদ্ধ একটি ভজন খাম্বাজ রাগে সৃষ্ট ।
এছাড়াও খাম্বাজ রাগে রাজস্থানী লোক সংগীত সৃষ্টি হয়েছে অনেকক্ষেত্রে
‘কেসরীয়া বালম পধারো মারে দেশ’
এই গান খাম্বাজ ঠাটেই প্রধানত গীত হয়ে থাকে।
খাম্বাজ রাগের নিজস্ব গাম্ভীর্য অথচ তাতে মিশে থাকা মিষ্টতা একে এক অনন্যতা দান করেছে।
খাম্বাজ রাগ কেবল কন্ঠে নয় কোনো ভারতীয় শাস্ত্রীয় বাদ্যযন্ত্রে শুনতেও অপূর্ব লেগে থাকে।
বিভিন্ন বড়ো বড়ো শাস্ত্রীয় সংগীতের ওস্তাদ, পন্ডিতরা তাদের নিজস্ব নিজস্ব ঘরানার অলংকারে খাম্বাজ রাগ পেশ করে থাকেন।
“পনঘট মুরলীয়া বাজে সখী, সিমিট যুবতী জন ঠাড়ে নিচেতন