দৈনিক ধারাবাহিক গুলজারের কবিতা – অনুবাদে অর্ঘ্য দত্ত (পর্ব – ৮)

(ভূমিকা – অর্ঘ্যর সৌভাগ্য হয়েছিল কিছুদিন গুলজারের সান্নিধ্যে থেকে তাঁকে একটি অনুবাদে সাহায্য করার। গুলজারের দীর্ঘ সাক্ষাৎকারও নিয়েছেন একটি নিউজ পোর্টালের জন্য। তাঁর কবিতা বাংলায় অনুবাদের ইচ্ছা প্রকাশ করাতে তিনি অর্ঘ্যর হাতে নিজে তুলে দিয়েছিলেন তাঁর কবিতার সংকলন, ‘রাত পশমীনে কী’। সেই সংকলন থেকেই এখানে এক ডজন নির্বাচিত কবিতার অনুবাদ।
অর্ঘ্য চেষ্টা করেছেন যতটা সম্ভব মূলানুগ থাকতে। গুলজার নিজে যেখানে প্রচলিত ইংরাজি শব্দ ব্যবহার করেছেন, অনুবাদেও তা অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। এমনকি কবিতার পংক্তি বিভাজন, পংক্তির দৈর্ঘ্য ও যতিচিহ্নও রাখা হয়েছে মূলানুসারী। অর্থাৎ, বইয়ের পাতায় ছাপা কবিতাটির ভিস্যুয়াল যেন একই থাকে সেদিকেও মনোযোগ দিয়েছেন অর্ঘ্য। কবিতা বেছে নেওয়ার সময় খেয়াল করেছেন যাতে গুলজারের কবিতার বিষয় বৈচিত্র্যটি ধরা পড়ে।
– মুখ্য সম্পাদক)
মহাবিশ্ব-১
ব্যাস, কয়েক কোটি বছরের মধ্যে
সূর্যের আগুন যেই নিভে যাবে
সূর্য থেকে উড়বে শুধু ছাই
যখন কোনো চাঁদ আর ডুববে না
উঠে আসবে না কোনও পৃথিবী
তখন নিভে যাওয়া ঠাণ্ডা এক কয়লার
টুকরোর মতো এই ধরিত্রী ঘুরতে থাকবে
লক্ষ্যহীন, অকারণ
মৃদু ছাইরঙা এক আলোর ভেতর!
আমি ভাবি, ঐ সময়ে যদি
কাগজে লেখা কোনো কবিতা উড়তে উড়তে
সূর্যে গিয়ে পড়ে
সূর্য ঠিক আবার জ্বলে উঠবে!!
আগামীকাল থাকছে, মহাবিশ্ব-৪