দৈনিক ধারাবাহিক : মৃদুল শ্রীমানী

জেনেটিক্স ও মহা প্রাচীন ভারত
(যে লোক জেনেটিক্স আর ইতিহাস কিছুই জানে না, এটা তেমন লোকের কল্পনা বিলাস। রামগরুড়ের ছানাদের অপাঠ্য)
২
মহাভারতের কথা অমৃত সমান। বিজ্ঞানের চরম উৎকর্ষের যুগ সেটা। যে পরমাণু বিদ্যুৎ এর নাম করে সব বড়লোক দেশ বোমা বানাবার নিয়ত পরীক্ষা নিরীক্ষা করে, কোনো রকম রাখঢাক না করে, ইউরেনিয়ম প্লুটোনিয়মের চক্করে না পড়েই মহাভারতীয় বিজ্ঞানীরা বজ্র তৈরী করেছিলেন। মহাভারতকার বলেছেন অথর্ব মুনির ঔরসে ও কর্দম কন্যা শান্তির গর্ভে দধীচির জন্ম হয়। বৃত্র নামে অসুর নিধনের জন্য প্রয়োজনীয় বজ্র দধীচির হাড় থেকে তৈরী হবে জানা গেলে দেবতাদের “শান্তি” কামনায় দধীচি নিজের অস্থি দান করেন। হাড়ের মতো এত সুলভ জিনিস দিয়ে অসামান্য বজ্র তৈরী করেছিলেন মহাভারতীয় বিজ্ঞানীর দল। দধীচির মায়ের নামটা দেখুন, শান্তি। পৃথিবীর সবকটা পরমাণু শক্তিধর দেশ ওই দধীচির মায়ের “শান্তি” নামটা মনে রেখে দিয়েছে। তাই সব পরমাণু গবেষণা একমাত্র শান্তির লক্ষ্যেই হয়। দধীচির বাবার নাম অথর্ব। এই নামটাও সাংকেতিক। অথর্ব মানে নির্ঘাৎ জানা আছে। পরমাণু শক্তির ব্যাপারে কেউ ট্যাঁ ফোঁ করলে তাকে কি করতে হবে ওই “অথর্ব” শব্দে তার ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছেন মহাভারতকার। কেউ কোনো আন্দোলন করতে পাবে না, তথ্য জানতে চাইতে পাবে না। পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষায় কোনো অপছন্দের লোক নাক গলাতে চাইলে গণতান্ত্রিক উপায়ে তাকে “অথর্ব” করে দিতে হবে। মহাভারত যুগ যুগ জিও।
চলবে….