দৈনিক ধারাবাহিক উপন্যাসে মৃদুল শ্রীমানী (পর্ব – ৬৫)
by
·
Published
· Updated
পর্ব – ৬৫
১৬৪
গোবিন্দ গল্প করে যেতে থাকে। বাইরে শান্তনু আর অতনু বিরক্ত হচ্ছে আন্দাজ করে শ্যামলী অস্বস্তি বোধ করতে থাকে। তাছাড়া বাবাকে পুজোর খরচটা বুঝিয়ে দিতে হবে। অথচ বাবা মাও স্মৃতিচারণে ডুবে গিয়েছেন।
শ্যামলী নিজের ঘরে গিয়ে পোশাক বদলে এল। রাতপোশাকের উপর একটা গাউন। তারপর বাবার ঘরে ঢুকে দেখতে পেল গোবিন্দ চোখ মুছছেন। শ্যামলী মাকে চোখের ইঙ্গিতে জিজ্ঞাসা করল গোবিন্দর কান্নার কারণ কি? মা তাকে চুপ করে থাকতে বলল।
গোবিন্দ ইঙ্গিতটা বোঝে। রাত অনেক হয়েছে। তাকে ফিরতে হবে। সদর দরজা বন্ধ না করিয়ে অনসূয়া ঘুমাতে যাবেন না। গোবিন্দ বলে, “থাক্ শ্যামলী, ওসব পুরোনো কথা।”
“আশ্চর্য ব্যাপার তো! কুড়ি বছর বয়সে একটা মেয়ের আনন্যাচারাল ডেথ হল। আর আপনি বলছেন আপনি তার কাকা, আর বলছেন পনেরো বছর ধরে উকিলের গাড়ি চালান, আপনি নিশ্চুপে হজম করলেন?”
শশাঙ্ক পাল মেয়েকে বলেন, “আজ আর থাক শ্যামলিমা। এ গল্পের কোনো শেষ নেই। ওকে বাড়ি যেতে দে।”
ভ্যাঁক করে কেঁদে ফেলল শ্যামলী। “বাবা, আমাদের দেশে মেয়েদের জীবনের কোনো দাম নেই। তাই গুরুদেব হয়ে মেয়েদের ধর্ষণকারীকে লোকে অর্থসাহায্য করে। বিয়ের পর মেয়েদের মৃত্যু হলে বাপ মা মুখে কুলুপ আঁটে।”