প্রায় দুসপ্তাহের উপর হয়ে গেল শ্রীতমা ঘরেই বোসে আছে।স্কুল বন্ধ হয়ে গেছে,প্রাইভেজ টিউশনেও যাওয়া বন্ধ ।কোন কিছুই ভালো লাগছে না,যেন ঘরবন্দী দশা। হবেই না কেন,দেশ এবং সারা বিশ্বে এক মরন ভাইরাসের আক্রমন ঘটেছে যাকে আমরা করোনা নামেই জানি। মানুষকে বাঁচাতে এবং দেশকে বাঁচাতে সরকার তাই সমস্ত কিছু বন্ধের নির্দেশিকা জারি রেখেছে।সেই কারনে বড় মানুষের হাতে বাচ্চাদের গৃহবন্দি হতে হয়েছে।শ্রীতমা এখন ক্লাস নাইন এ পড়ে।এই ঘরবন্দী দশায় বাড়ির লোকেদের ও একটু ভয় কি করে তাদের ছেলে মেয়ে দের বাড়ির বাইরে বেড়াতে দেবে।এমন একটা ভাইরাসের আক্রমন ঘটেছে যারফলে দেশে দেশান্তরে বহু লোকের আক্রমন ঘটেছে।শ্রীতমাকে তার বাবা বলে চল্ তোর সাথে শম্পার ফোনে কথা বলিয়েদি,ও কি করছে জানলে তোর ভালো লাগতে পারে।ওর বাবার নম্বর আমার কাছে আছে।ফোন করে শ্রীতমার বাবা শম্পার বাবাকে বলল,বরুনবাবু শম্পা বাড়ি আছে তো?উনি বললেন না থেকে কোথায় যাবে চারিদিকে মা অবস্থা।এই কথা বলে ফোনটা শম্পাকে দিলো,শ্রীতমার বাবাও ফোনটা শ্রীতমাকে দিল।শ্রীতমা শম্পাকে বলল,জানিস আমি ঘরে থাকতে থাকতে বোর হয়ে গেছি তাই বাবা তোকে ফোন করে দিলো।তা তুই কি করছিস।কেন? আমার তো কোন বোর বা গৃহবন্দি লাগছে না।আমি রোজ ঘুম থেকে উঠে ছাদে চলে যাই,সেখানে কিছুক্ষণ ব্যায়ম করে ঘরে চলে আসি।ঘরে এসে রেওয়াজ করি । জানিসই তো আমি গান লিখি এমন সময় পেয়েছি তাই একটু বেশি করে রেওয়াজটা করছি।শ্রীতমা বলল,তার বেশ তো তোর সময় কাটছে,হ্যা তাতো নিশ্চয়ই।আমি এরপর নানা রকম পত্র পত্রিকা পড়ি। বিশেষ করে শিশু সাহিত্যের উপর বিভিন্ন বই ও মাসিক পত্রিকা।তোর বোর হওয়ার কি আছে? তুইতো ভালো ছবি আঁকতে পারিস,সেটাই তো বেশি করে করতে পারিস।তাতে তোর ওসব গৃহবন্দি বলে কিছু মনে হবে না।শ্রীতমার বেশ ভালো লাগলো।ঠিক আছে রে আজ ফোনটা রাখি পরে কথা বলবো,শম্পা ঠিক আছে বলে রেখে দিল।