• Uncategorized
  • 0

গুচ্ছকবিতায় হীরক বন্দ্যোপাধ্যায়

এত ভালবাসা আকাশ পারে না

নক্ষত্র চুম্বন করে নীল জল,এত ভালবাসা
আকাশ পারে না
নাছোড় নারীর মতো কথাগুলো ভেসে গান হয়ে যায়, শুধু রবিঠাকুর জেনেছিলেন
কীভাবে গরলের বুকে লেখা হয় অমৃতের নাম
ঝোড়ো হাওয়া ছিল বলে
সমুদ্র ফিরিয়ে দিয়েছিল সবকিছু
দান অনুদান কিছুই নেয়নি
পৃথিবীর পোড়া চোখ দেখেছে শুধুই
কেবল নারী ও শিশুরা এসে নিকটে দাঁড়ালে
সত‍্যজিতের ছবি হয়ে যায়
সমগ্র ট্রিলজি টেট্রালজি জুড়ে…
বাতাসে বাতাসে খবর রটেছে তাই
আগাছা ফিনিশ করে ফোটাতে হবে ফুল
উদয় ও অস্তের মাঝে পূর্ব ও উত্তর পুরুষের
মাঝখানে ,শীত ও গ্রীষ্মের মাঝখানে
বাজে ঝড়ে বিস্ফোরণে
যখন তুমি একটু একটু করে ভেঙে যাচ্ছিল
নিজেকে নিংড়ে ,সর্বস্ব বিলিয়ে দিচ্ছিল
জন্মান্ধের কানে
তোমার গরল তোমার ই স্বাধীনতা
ঠিক তক্ষুনি নক্ষত্র চুম্বন করেছিল
নীল জল ,এত ভালবাসা আকশ ও পারে নি
নাছোড় নারীর মতো
কথা গুলো ভেসে গান হয়ে গেছিল সেদিন
শুধু রবিঠাকুর পেরেছিলেন …

সমর্পন

ওকে প্রশ্ন করো,কাপুরুষতা দিয়েছে কতটা শস্য
শেয়াল কুকুরের উল্লাস দেখে ভয় পাওয়ার কিছু নেই, আমার সব সমর্পন আজ
সমগ্ৰ শুভ্রতার দিকে
সব প্রতিবাদ হিংস্রতা ও ঈর্ষার বিরুদ্ধে
আমার সমস্ত মরুভূমি গেছে পাহাড়ি নদীর উৎসে,আমার সমস্ত উদযাপন
চোখে মুখে উৎসুক গ্রীবায় আজ
সত্য ও সুন্দরের প্রতীক
শুধু অর্জুনের জন্যে আমি দ্রৌপদীর
ভালোবাসা হতে পারিনি বহুদিন…
আমি চাই মানুষ এখনো নিরপেক্ষ হবার স্বপ্ন দেখুক, বড়ো বেশী মার খাওয়া হলো একজীবনে
মাথা তুলে দাঁড়াতে সময় লাগছে তাই
ধলভূমগড়ের পাহাড়ি রাস্তায়
এখনো ওঠে এক হাওয়া, সর্বনাশা
জ্বরে স্বৈরাচারে বল্লমের মতো তীক্ষ্ম
আমার ই তলোয়ার খুলে আমাকেই
উপহার দিলে যেদিন
সেদিন ই বুঝেছি শ্মশানের সব ছাই চন্ডালের
কলসিতে নেভে না
কিছুটা সময় আরও আছে চার… তিন… দুই…
ওকে প্রশ্ন ক‍রো,কাপুরুষতা দিয়েছে কতটা
শস্য ,আর কতটা প্রয়াস
শেয়াল কুকুরের উল্লাস দেখে ভয় পাওয়ার
কিছু নেই, আমার সব সমর্পন
আজ সাগরে বিলীন …

গ্রহণ লেগেছে নীল তারায়

এত সরলতা তুমি কোথায় লুকিয়ে রেখেছো নীল তারা, গোপন গহ্বর খুলে উবু হয়ে বসে আছি
বহুদিন, জানি এখনো নীলের কাঙাল তুমি
সমুদ্র দ‍্যাখো, ভুলেও সাতারে যেওনা…
কবির চোখের সামনে প্রতিদিন আত্মহত্যা করে
একশো রমণী, এই অভিশাপে টানা মাত্রাবৃত্তে
এগিয়ে যায় মন্দ্রাক্রান্তায়
অমন তরল অগ্নি হিলহিলে সাপের মতোই বয়ে যায় সাদাখাতায়,অগ্নিবর্ণ প্রচ্ছদের ছায়া
সেই শুরু সেই শেষ
উত্তর থেকে দক্ষিণের পথে যাত্রা
সন্ধ্যার প্রথম তারার মতো উজ্জ্বল নীল
একটানা এক ঘোরের ব‍্যাকরণ
যেখানে শ্রতি নেই, দৃষ্টি নেই, গোপন রক্তপাত
ভালবেসে বধির হয়েছে
সাগরে ভাসমান পাহাড়ে বনে
আজ নয় ,কাল নয় শীত গ্রীষ্মে নয়
কোমলতা আশাতীত স্বপ্নে
ব‍্যাথায় খরস্রোতা তিস্তার মতন
আমার চিরচিকন ভল্লে তোমার মুখশ্রীর
অংশ টুকু লেগে
দামোদরের জেগে থাকা চরে …
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *