চারিদিকে যেন শেষহীন অদ্ভূত আঁধার…
আশ্রয়হীন মানুষ হারায় নি আজও আশা…
সীমাবদ্ধ জীবন-যাপন যা ছিল ভেসে গেছে আগেই,
তবুও..”আমার পাশে আছে মানুষ”–এ বিশ্বাসই ভাষা।
আবার আসবে সময়ের বাঁক….
পুনর্ণির্মান হবেই, হয়ো না আস্থাহীন
গর্জে উঠবেই দিকে দিকে মানবিক কন্ঠ…
আসবে আবার সূর্যিত আলোর দিন।।
অটো – ইমিউনিটি
আত্ম-অহংকারী মানবজাতিকে তুমি কি আজ শাস্তি দিতে চাইছ,পৃথিবী?
জানি, বেলাগাম দূষনের চাপ হয়ত তুমি আর সইতে পার নি…..
অকৃতজ্ঞ মানব জাতির নিঃশ্বাসের বিষে তুমি রোগগ্ৰস্ত হয়ে পড়ছিলে…
পরিচর্যার উন্নাসিকতায় তুমি যে এতটা রূষ্ট ,তা কেউ বুঝতেই পারি নি….!
তুমি শিক্ষা দিয়েছ,বুদ্ধি দিয়েছ, সভ্যতম রুপে গড়ে তুলেছ. মানুষকে…
কিন্তু, আত্মসংযম আর আত্মোপলব্ধির ধারণাকে জাগ্ৰত তো করাতে পার নি…
উন্নততর জীবনের লোভে মানুষের দ্বারা প্রতিদিন ছায়া -ধর্ষিত হতে হতে…
নিজেকে বাঁচাতেই হয়ত আজ এতখানি কঠোর হয়েছ তুমি ,ধরনী. .. ।
তোমার অটো ইমিউন সিষ্টেম উন্নত, তাই তুমি নিজেই রোগ সারিয়ে নিচ্ছ,বসুন্ধরা…
সবাইকে ঘরে বন্দী করে দিয়ে তুমি দূষনের মাত্রা কমিয়ে নিলে…
গ্লোবাল ওয়ার্মিং রোখার জন্য তুমি আজ নিজেই নিজের চিকিৎসক…
এক আকাশের নিচে দাঁড় করিয়ে সবাই কে কি মোহমুক্ততার শিক্ষা দিচ্ছ?
জানি না,তুমি কিরূপ পাল্টে যেতে চাইছ, পৃথিবী?
তুমি কি হারিয়ে যেতে চাইছ ,না নতুন করে গড়তে চাইছ নিজেকে?
পাল্টে দেবে জীবন যাত্রা , তাই না? পাল্টে যাবে সভ্যতা!
সে সভ্যতায় মানবজাতি কে আগের মতো স্থান দেবে তো তুমি?
চলমান
তরু থেকে উৎপাটিত নিহত পুষ্পে
আর প্রাণ ফেরানো সম্ভব নয় জেনেই…
তরু আবার প্রস্তুত হয় . নব পুষ্প রচনায়…
দৃঢ়-চিত্তে ব্রত হয় সৃষ্টির মহা যজ্ঞে…
অভিমানে বিদ্ধ হয়েও গুছিয়ে নেয় নিজেকে..
শোক ভুলে মেতে ওঠে প্রাণের আনন্দে…।