তুই কেমন বিছানায় পাতা
চাদর হয়ে গেছিস।
রাতে এত ধস্তাধস্তি,
সকালে কী পরিপাটি,
কী করে পারিস রে ?
ঠিক কতটা নোংরা হলে
পাল্টে নিস ?
লোকে চাইলে ?
নাকি বুঝতে পারিস
সময়————?
বলিস আমার কানে কানে।
ঠিক কতটা উঁচুতে উঠলে,এত ধস্তাধস্তি,
এত ভাঁজ হজম করে,
পরিপাটি থাকতে হয়,
বলিস আমার কানে কানে।
২। বিকর্ণ
আমি তোমাদের লোক নই,
কিন্তু তোমাদের হয়ে কথা বলি।
আমি কারো ভক্ত নই, কিন্তু বেদী মূলে
ভূমিষ্ট হয়ে মাথা ঠেকাই।
আমার চোখের কোন দোষ নেই,
কিন্তু আমি এক চোখ দিয়ে দেখি।
আমার কানের কোন অসুবিধা নেই,
অথচ সবার কথা কানে ঢোকে না।
আমি কালোকে কালো, সাদা কে সাদা বলি,
কিন্তু একটি বিশেষ রঙ ছাড়া অন্য কোন
রঙ দেখতে পাই না।
আমি কারো কাছে থেকে বিশেষ কিছু
প্রত্যাশা করি না; কিন্তু তোমার নজরে
পড়ার মতো আচরণ করি।
আমি রাজনীতির লোক নই ,বুদ্ধিজীবী,
অথচ রাজনৈতিক মঞ্চে আসন গ্রহন করি।
আমি সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ, সবাই সমান আমার
কাছে কিন্তু সব সময় একটি পক্ষ নিয়ে কথা বলি।।
৩। “দুঃসময়”
বরফের মতো নিরেট দুঃসময়
বুকে চেপে বসেছে
সরিয়ে ফেলবো যে তার উপায় নেই
হাত দুটো বাঁধা আছে।
হাতিয়ার গুলো পড়ে আছে বহুদিন
মরচে ধরেছে তাতে
বহুদিন চলে নি মেশিন,বসে আছি ঘরে
কোন কাজ নেই হাতে।
কোন দিন খাই আধাপেট কোন দিন না
মরে মরে বাঁচি দিনে রাতে
এভাবে আর চলবে কতদিন,সেই জানে
কী লেখা আছে বরাতে ।
ছেলেটা কাঁদে সারা ক্ষণ,চুপ হতো
দুমুঠো ভাত খেলে
ও বাসন্তী!দেখ না দিয়ে,চুপ করে কি না
তোর বুকটা খুলে।
না খেয়ে কেউ মরতে আসে নি এ দুনিয়ায়
আমরা ও মরবো না
ও বাসন্তী ! আয় বেরিয়ে পথ তো আছে খোলা
লজ্জা করিস না।