• Uncategorized
  • 0

গল্পবাজে সোমা চট্টোপাধ্যায় রূপম

হিসেবি মরশুমে

নতুনের মরশুমে কেমন যেন আধচেনা লাগছে নিজেকে। খুঁজতে খুঁজতে হারিয়ে যাচ্ছি তো যাচ্ছিই। কোথাও খুঁজে পাচ্ছি না সেই আমিটাকে যেখানে গান ছিল, প্রাণ ছিল,কালের নিয়মে আসা মনখারাপের পর একটা বুক ছিল জড়িয়ে রাখার। অযাচিত চুমুরা একটা একটা করে সরে যেতেই তোমার পায়ে ধরে কাঁদতে শুরু করলাম। কারণটা জানি না তোমার মতোই।মিথ্যের প্রাসাদ যখন খুবলে খায় ভালোবাসার ওম তখনই বর্ণেরা বহুগামী হয়ে ওঠে আর খুলে যায় বন্ধ প্রাসাদের দরজা। সেখানে এদিক ওদিক ছড়িয়ে আছে কাঁচের টুকরো। একটু অসাবধানী হলেই রক্তপাত হবেই। আচ্ছা সব আঘাতেই রক্ত কেন পড়ে?
ওই কাঁচের টুকরোগুলোর কোথাও লেগে আছে প্রথম স্পর্শ, কোনোটাতে শেষের শব্দেরা,কোনোটাতে বেহিসাবি উদ্যামতা। ওগুলো তোলা যায় না। বয়সের ভার আর অভ্যেসের পরিমাপে অযত্নেও তাই পা কাটে না ওগুলোতে।
যদি এরকম হতো- ওই টুকরোগুলো বন্দি করে রাখতাম একটা সাদা কাঁচের বয়ামে আর ওপরে জড়িয়ে দিতাম ছাঁকনি কাপড় ! তারপর একটু একটু করে জলের ছিটে দিয়ে পড়ন্ত রোদ্দুরে বসিয়ে রাখতাম আর সপ্তা ডের দুই পর রঙিন হয়ে উড়িয়ে দিতাম ছাঁকনি কাপড় খুলে। বেশ হতো।
আসলে এই সাবধানি জীবনটা কখন যে জীবাণু হয়ে যায় অন্যের কাছে তা বোঝা বড়ো চাপ। এইসব ভাবতে ভাবতে রূপোলি আলোরা কেমন যেন সোনালি হয়ে যায় আর আমি ভাবতেই থাকি ঠিক কতটা জীবন বাকি আর কতটা জীবাণু হয়ে উঠেছি তোমার কাছে, নিজের কাছে, আর আরও সবার কাছে। পাশ ফিরে আবার ভাবি রাত সাড়ে তিনটে বাজার ঠিক কতক্ষণ পরে আমি নীচে যেতে পারবো-আমার স্বপ্নরাজ্যে। ওখানে হাতি সালে হাতি, ঘোড়া সালে ঘোড়া, রাজা, রানী, সিপাই, মন্ত্রী পাইক ,লেঠেল,সোনার কাঠি- রুপোর কাঠি সাজিয়ে অপেক্ষা করছে সে –আমার কাঁচপোকা রঙা মেঘ।হিসেব শেষ হলে আবারও ভাবতে বসি ; আচ্ছা  যদি…
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।