এইমাত্র শীতটা বেশ জাঁকিয়ে পড়লো জানালা বরাবর।দুটো চড়াই একসাথে কী যেন গল্প করতে করতে রূপশ্রীর কফির ধোঁয়াতে প্রায় মিশে যেতে যেতে আটকে পড়ল শ্রীরূপের কথায়।এভাবেই আটকে পড়ে ওরা প্রত্যেক বার ওদের ঠোঁটের মাঝে ।কেন-কীভাবে সে সবের শবদেহ পেরিয়েই একটু একটু করে শীত জমে জানালা থেকে দরজার দিকে।দু একটা কথাতেই আটকে যায় শ্রী আর রূপেরা এভাবেই।আরও জাঁকিয়ে পরা শীতটা এবার লীন হয়ে যাচ্ছে একটু একটু করে উষ্ণতায়।ঘরটা আস্তে আস্তে গরম হয়ে উঠছে চারপাশটা। আচ্ছা ঘরটা গরম হলে বাইরের পারদটাও কী নেমে যায় নাকি আটকে থাকে কোনো বিদেহীর শরীরে!
জানেনা ওরাও। তবু আটকাতে চায় মুহুর্তগুলো কোনো অজানা আস্ফালনে। যে সময়টা আটকানো যায় না সেই সময়টাই লেগে থাকে ওদের ঠোঁট আর হাতের আঙুলের নেলপলিশ ওঠা কোণে। এটাকে ভালোবাসা বলা যায় আবার প্রেম ও বলা যেতে পারে।
শ্রীরূপ এবার একটু একটু করে মিলিয়ে নেয় নিজেকে মহাশূন্যের সাথে। আর সময় নেই ওর। যতটুকু আটকে থাকা যায় দেওয়াল ঘড়ি আর কফির ধোঁয়ায় সেই সবটা ও দিতে চায় ওর শ্রী কে। কিন্তু গরম থাকা কফির মতোই অবয়বটা বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনা নিজের মধ্যে। চড়াই দুটোও উবে যায় একসময়। পাওনাটুকু আহুতিতে ঝেড়ে ফেলে রেখে একটু বিশ্রামের সময় এখন শহর।
তুমি অগভীর ঘুমে ঘুমিয়ে থেকো যেমনটা থাকে সদ্যপ্রয়াতের মুখ বা শীতেলা বেগুনফুল, যেমন করে ঘুমেরা ঘুমিয়ে থাকে আমৃত্যু অনশন কিংবা উপশম না হওয়া কোনো মামলা, যেমন করে ঘুমোয় চড়াইদুটো আর রূপশ্রী আর শ্রীরূপ রা।