খালাসিটোলার মার্জা-ঋণ
ধোপদুরস্ত পাঞ্জাবিতে হলুদের ছোপ… এই দুর্গন্ধ ভাটিখানা, নিছকই মজার ছলে অকথ্য গালিগালাজ দিয়ে আর শুনে চলা অবিরাম, কিছু অসংলগ্ন চিন্তাও বুঝি লোফালুফি চলে নিয়মিত।
তরল সুধার নেশাগ্রস্থ মস্তিষ্কে যে স্বপ্ন আসেনা কখনো, খাতায় তাদের বাষ্পীভূত স্মৃতি ধরে রাখা আমার অভ্যাস। ইচ্ছে ছিলো আমাদের গ্রামের বাড়ির আলসেতে দাঁড়িয়ে তুমি আমার শহরে চলে আসার সময় হাত নাড়বে, “সাবধানে আইস্যো”।
যা হয়নি, তা হওয়ারও ছিলোনা কোনোদিন… বিদেশের ঠিকানায় চিঠি পাঠানোর সুযোগ বা সাহস কোনোটাই আমার হ’য়ে ওঠেনি কখনো। কাঁচা হাতের যে লেখাগুলো তুমি যত্ন ক’রে রেখে দিয়েছিলে, সেগুলির মতো আবারও লিখতে বড়ো ইচ্ছে করে।
দালানের উত্তর কোণে যে কিশোর কোনো এক কিশোরীকে কথা দিয়েছিলো আকাশের চাঁদ তাকে এনে দিতে পারে, সে’ও কবি হ’লোনা তো আজও। অস্ফূট উত্তর না বুঝে সে ভেবেছিলো চকচকে জ্যোৎস্নার ফুল এনে পার হবে অগাধ এক সমুদ্র। ঝুলের গন্ধমাখা খাতাটির প্রথম পাতায় অস্পষ্ট মেয়েলি ছাঁদে কী যেন লেখা…
নীল পদ্ম পাওয়ার চাইতে বিড়ালকে কোলে নিয়ে আলসেতে নিভু নিভু সন্ধ্যার আগমনই বলোনি তো প্রিয় ছিলো তোমার।