গদ্যে শর্মিষ্ঠা বিশ্বাস
কথক
মদ খাবেন না। প্যাঙ্ক্রিয়াটাইটিসএর সম্ভাবনা বেড়ে যায় – এইসব কথার কি উত্তর হওয়া উচিৎ ছিল, ভাবতে ভাবতেই গাড়িটা চলেছে। বাঁশঝাড় পেরিয়ে এসে যে রাস্তা নদীর মত, স্রোতের মত জনপদে শিল্পের আবরণে সুপ্তসিংহের কেশরে জলন্ত পাথরসময় ছুুঁড়ে দিচ্ছে পেছনে, ওখানেও পুরোনো শীকরে জেগে উঠছে সোমসংগীত।
গাড়ি তো গাড়িই! চলমান আগামীহীন মহাপরিচালকের নির্মিতি।বক্সঅফিস ফেরতা গরমাগরম, সে এক অদ্ভুত উন্মাদনা….
ছলকে ছলকে পড়ছে পিপের থেকে রক্ত -! নদী তো এমনভাবেই পাহাড়ের নুড়িপাথরের দুঃখকে ভাঙতে ভাঙতে বয়ে যায় সমতলে। গান কে ভাটিয়ালি বলে কেউ কেউ! কেন? ও’গানে কি উজান বেয়ে গড়িয়ে যাওয়া কৃষকপাখিদের মতোই একটা সময় চলে যায় সমুদ্রের একঘেয়েমির রূঢ়বাস্তব জীবনে? ঢেউ আর অগুনতি ঢেউ! জলের শরীরে ব্যথা হয়! হয়তো বা ওইসব রেস্ট্রিক্টেড এরিয়ায় অনেকেই যেতে পারেনা! গেলে দেখা যেতেই পারে- একবুক অভিমান নিয়েই কোনো এক আমি’র ওপর বোকা কোলাব্যাং তার প্যাঙক্রিয়াসএর ব্যাথাকে রেখে দিয়ে আছাড়ি-বিছাড়ি কেঁদেই চলেছে।