– শুনছেন?
– বলুন।
– আপনার কভার ফটো…
-… থেকে চোখ সরাতে পারেন নি, তাই তো?
– না, মানে…
– প্রায় সাড়ে তিপ্পান্ন সেকেণ্ড ড্যাবড্যাব ক’রে তাকিয়ে, টনক নড়েছে মায়ের হঠাৎ ডাকে?!
– না ইয়ে…
– আচ্ছা! তবে কাক ডেকেছিল, অথবা, একটা চিল উড়তে উড়তে হঠাৎ আপনার মাথায় পাউরুটির একটা টুকরো ফেলে দেয়, এই আর কি?!
– আচ্ছা আমি..
– না প্লীজ! এসব শুনে শুনে কান হেজে গেছে মশাই। অন্য কিছু বলার থাকলে বলুন।
– মুড…
– বললাম তো, অন্য কিছু….
– আপনি কি এভাবে-ই অবান্তর ব’কে যান, না অন্যদের-ও সুযোগ দ্যান মাঝে মাঝে?
– মানে?
– মানে, নিজে একটা ছোটো কথা শোনার মতো ধৈর্য্য না রাখতে পেরে, কি ক’রে এক্সপেক্ট করেন, অন্যরা সেই ধৈর্য্য দেখাবে?!
– কি বলতে চাইছেন, একটু ক্ল্যারিফাই ক’রবেন প্লীজ?
– চেষ্টা ক’রছি গত বেশ কয়েক মিনিট ধরে, সুযোগ দিচ্ছেন কই?
– বলুন এবার। আমি চুপ ক’রে আছি।
– আপনার কভার ফোটোতে আরেকজন যিনি আছেন, তিনি আপনার কে হন্?
– কেন বলুন তো?
– পাল্টা প্রশ্নে আবার কথা বাড়বে, তার চেয়ে বরং…
– আমার বেস্ট ফ্রেণ্ড।
– ওহ!
– কি ওহ?!
– বেশ সুন্দরী!
– এই ভুলভাল কথা বলার জন্য এতক্ষণ ধরে এত ভূমিকা ক’রলেন?!
– না তো! ভুলভাল কেন হবে?
– ওকে-ই তো ডিরেক্টলি বলতে পারতেন, খামোখা আমার এতোটা সময় নষ্ট ক’রলেন কেন?
– চটছেন কেন?
– সময়ের দাম আছে ব’লে।
– সত্যি আছে? তবে দেখুন তো, এই আধ সেকেণ্ডের ছোট্ট কথাটা শোনার আগে, আপনি কতো মিনিট অহেতুক রিয়্যাক্ট ক’রে গেছেন শুধু!
– ওহ প্লীজ!
– বলছি, ছোটবেলা থেকে-ই অর্ধেক কথা শুনে ঝাঁপিয়ে পড়ার অভ্যাসটা আর গেল না, বল্?!
– কে আপনি? তুই ক’রে বলছেন কেন হঠাৎ?
– হঠাৎ-ই তো সব কিছু হয়, ঠিক যেমন হঠাৎ একটা দু’ লাইনের চিঠি লিখে উধাও হয়ে গেছিলিস বারোটা বছর!
-………….
– শোন্..
-…..
– কি রে?!
-……
– তোর বেস্ট ফ্রেণ্ডকে জিগ্যেস ক’রিস, বারোটা বছর ধরে প্রত্যেক জন্মদিনে একটা ক’রে ডার্ক চকলেট কে পাঠিয়ে এসেছে। আর হ্যাঁ, আজ-ও কারোর থেকে তোকে কম সুন্দর ভাবার মতো সাহস আমার হয় নি। কথা হবে আবার পরে কখনো। ভালো থাকিস।
– দিব্য, শোন্, হ্যালো.. হ্যালো… প্লীজ….