তোমার আসা-যাওয়ার নিত্যস্রোতের গরিমায় বিহ্বল প্রচ্ছন্ন নীরবতা,
ভাষা জানায় শুধু থমকে থাকা সময়,
যদি, সীমাহীন রাত্রি যাপন আর তোমাকে ভুলে থাকা, চোখের কোণায় শিশিরকণা-
সবুজে সুস্নাত, মায়াবী, ছাউনি, আগল আর তারপর সেই দিকচক্রবাল-
ঠোঁটে তখন লেগে থাকা বালি, আর নোনা ডাব জলের নির্যাস…
দু-কথা লেখা তবু শেষ
দু-কথা রয়ে গেলো বাকি-
দু-কথা সম্রাটের বুকে,
আর শেষ দু-কথা থাকলো না হয় ফাঁকি।
বইমেলা
একদিন আবার আগের মতোতোমার হাতে হাত রেখে কথা বলে যাবো অনর্গল,
যেদিন আবার ময়দানে বইমেলাহবে, তোমার চশমার ঝাপসা কাঁচে জমবে কুয়াশার স্মৃতি,
আর রোদ-ছাঁকা বিকেল থমকে দাঁড়াবে হাওড়ার বড় ঘড়ির ছোট্ট কাঁটায়-
তারপর?
একটা দুপুর পাঞ্জাবিতে ছিঁড়বেসুতো কাঠ-বোতাম
বৃষ্টি-দীঘল বাবুই-বাসা তোমারডাকে আমার খাম
কলকাতাতে সন্ধ্যে নামে, অক্ষরেতে ফ্যান্টাসি
ঠুনকো-সকাল, লুব্ধ-বিকেল, রাত্রিগুলোও বানভাসি
শনিবারটা আবার ছুটি, ফুটবেসে রং আসমানীও
বারো বছরেই পুনরজনম, চোখ ভেজাটাও বাঞ্ছনীয়
নক্সী-কাঁথার মাঠ উপহার, প্রেম-কবিতা আগলবিহীন
হেমন্তেরই মিষ্টি বিকেল, ক্যালেন্ডারে ছুটবে হরিণ
বলতে গিয়েও আর হলো না, ফুটপাথেতেই খেলনা গুনিস
“বৌ নাকি তোর? মিথ্যে কথা, ক্ল্যারিওনেটের শব্দ শুনিস?”