আমার ঘরের জানালা দিয়ে বিষাদ ঢোকে,দেওয়াল দিয়ে দুঃখ নেমে আসে,চোখের জলে বাড়ির ছাদ ভিজে যাচ্ছে।ভালোবাসা কি আজও বুঝলাম না!
অনিক এক নগ্নপ্রায় নায়িকার ছবি দেখিয়ে বলেছিল, ভালোবাসি।বাপ-মা হারা শৈবাল তার বোনকে চুম্বন করে বলেছিল ‘ভালোবাসি ‘।
তিনবার ব্রেকআপ হওয়া সুমন বলেছিল ‘তবুও ভালোবাসি’ দু-দুটো ছেলের সাথে সম্পর্ক রাখা সম্পূর্ণাও বলেছিল ‘ভালোবাসি’ ।
শুধু আমিই বলতে পারলাম না ভালোবাসি।’ভালোবাসি ভালোবাসি, হ্যাঁ, আমি ভালোবাসি ! ‘
যারা সুখের জন্য ছেড়ে যায়,
তারা সুখী যেন হয় ।মানুষ ছেড়ে যায় ঠিকই কিন্তু,মুছে যায় না ।ফোনের গ্যালারিতে তাদের চিহ্ণে বাণ আসে।
স্মৃতি কালবৈশাখীর মতো তেড়ে আসে,ঝড়ঝাপটায় পুরো বিছানা ভিজিয়ে দেয়,
সময় কাটানো সন্ধ্যা, জোনাকিরা, স্নিগ্ধ হাওয়া ,
শূল, বর্শা তীর নিয়ে তেড়ে আসে।মনের খুপরি দাউ দাউ করে জ্বলে ।
সময়ের তরে সময় আমি,
শরীরের জন্য শরীর,তাই যদি হয় গো তবে,আমিই জয়ী।
বেশ!আমায় দেখিয়ে দেখিয়ে নাহয় দিও তালি, বারংবার বারংবার।কিছু সম্পর্ক সময়ের আগে ভেঙ্গে যাওয়াই ভালো,নইলে রাতের বিছানাতে চীনের ‘পাঁচিল’যে সংসার গড়বে!
আজও আমি বুঝতে পারিনা আমি ভালোবাসি কিনা!
কবিতার জন্য
আমি শব্দের কাঙাল ।
বহুদিন খোঁজ নেওয়া হয়নি ,আসলে হয়ে ওঠেনা।
বদ্ধ জীবনে তোমার প্রানোচ্ছলতা প্রাণে সয়না যে।
জানি , দেখিনা তোমায়। কেমন সে তোমার রূপ?
গোধূলির আভা, সিথি রাঙা সিঁদুর, প্রেমিকের ব্যথা ?
না প্রেমিকার সেই হাসি , অপরূপ !
মায়াবিনী ! এবারে প্রেম নয়, কিছু শব্দ পাঠিও ।যে শব্দের জালে জালে বুনব তোমায়,
হে অপরূপ !
না! না! বর্নে বর্নে প্রেমও পাঠিও অবশ্যই ।