মাঝেমাঝে ভগবানকে বলি,
“ঠাকুর একটু বিস্মরণ দাও…”
উলুবনে লুকিয়ে থাকা শ্বাপদের মতো
অতর্কিতে ঝাঁপিয়ে পড়ে বেয়াদব পটচিত্র,
মুহূর্তে বেড় করে আনে সময়ের
অনিঃশেষিত কঙ্কাল;
জ্বালা জুড়িয়ে আসার মৌতাত
কুটিকুটি করে ছিঁড়ে ফেলে ক্রুর রিরংসায়,
বীভৎস হাসিতে খানখান করে দেয়
সযত্ন লালিত প্রশান্তির মেঘমালা|
তুমিও কি ভয় পেয়েছো তাকে?
তবে কেন মুখে মৃদু হাসি টেনে
আর বরাভয় মুদ্রার ন্যাকামিতে
আস্তে আস্তে বিলীন হয়ে যেতে চাও
নক্ষত্র খচিত পথে দুর্গম মন্দিরে?
যেখানে শুরু হলো তোমার আরতি,
কাঁসর-ঘন্টাধ্বনিতে অনেক অনেক দূরে
চলে যাও তুমি?