কবিতায় যযাতি দেবল
গোক্ষুর
বহুবার ব্যর্থকাম প্রত্যাখ্যানে হয়েছি বিমূঢ়:
হোমকুণ্ডে বহুবার খণ্ড খণ্ড জ্বলন্ত সমিধ।
ঘৃত মধু গন্ধপুষ্প অগুরু তর্পণে,
দাউ দাউ পুড়ে গেছে পাঁজরের হাড়।
যদিও দধিচি নই—
বজ্র নেই নেই বজ্রনাদ।
দূরাগত শব্দে ভাসে অস্ফুট সংবাদ:
ক্রমাগত যুদ্ধশ্রমে ক্লান্ত হয়ে ফিরে
চন্দ্রমুখী বাঘিনীর গুহামুখ ছেড়ে
তোকে ডেকে ঢেউ তুলি গূঢ় সংগোপনে;
খানিক তরল বিষ ভালবেসে কণ্ঠে ঢেলে নিয়ে
সন্ধিক্ষণে শিরে তোর নৃত্যচ্ছন্দে এঁকেছি গোক্ষুর।
অঙ্গসাধন
মরা বাউলের চোখে চোখ রেখে শুয়ে আছে সাধনসঙ্গিনী;
কদমখণ্ডী ঘাটের ফুলে তাঁর শেষকাজ হবে
কী তারে বেঁধেছ হে ওই দু’টি শীর্ণ পদতল!
নদীজল! কী জানিস্ তুই বল!
কিছু বল।
মরা বাউলের হাড়ে আজ ধুনি জ্বালা হবে
আজ পূর্ণাহুতি।সাধিকার নীল শিরা ছিঁড়ে–
অঙ্গ সাধন আজ!অনঙ্গ সন্নিধানে…
বিশ্বাসঘাতক
ভেবেছিলাম ওসব কথা বলবোনা তাও বলেই দিলাম
মেঘ ভেঙে জল যেমন করে আছড়ে পড়ে
হড়পা বানে হঠাৎ করে দেয় ভাসিয়ে
গোপন কথা বলতে গিয়ে কী গান শোনায় সোনার মেয়ে
কেনইবা সে আসছে ধেয়ে দুলকি চালের চলন ছেড়ে?
ভাবনাগুলো যায় গুলিয়ে কী বলতে ছাই কি বললাম!
স্বপ্নগুলো মারছে কারা তারা কি আমার ঘরেই থাকে?
নানান কথার খলবলানি দেয় ভুলিয়ে ফাঁকির ফাঁকে।
ট্রেন চলে যায় ট্রেন চলে যায় ছল করে সই হাত কামড়ায়
চড়তে গেলে নানান ছলে কেনইবা পথ আগলে দাঁড়ায়?
শত্রু মিত্র কূটকচালি কথার ছলের চোরাবালি,
বন্ধু সেজে মারছো ছুরি জড়িয়ে গায়ে আগমার্কা নামাবলী।
ঝকমকানো মুখোশখানি ছিঁড়বে কবে ঠিক জানিনা
ছিঁড়বে, যেদিন বলবে মানুষ তোমার কথা আর মানিনা।
জন্মদিন-২০১৮
কথা বন্ধ।ধ্বনিময় কথা বন্ধ আছে।
কখনো অক্ষর ছাঁদে কাঠ কাঠ কথার মাড়ুলি;
দৈর্ঘ্য প্রস্থে মাপসই বাচালতা যদি হয় পাছে।
কথাশেষে কথারম্ভ অক্ষরের সঙ্গে কোলাকুলি।
জন্মের রজত জয়ন্তী তাই ধৈর্যের অক্ষরে।
সেই কথা;যে কথা আছে আঁতে বা অন্তরে।