কবিতায় জপমালা ঘোষরায়

দাদরা কোপাই

কোপাই ছুঁলে? দাদরা তালে? নাস্তিতে নয় অস্তিতে না। ভীষণরকম অনিবেশে আঘাত পেল আমার নিবিড়। ভিতর গুঁয়ে কান্না চুঁয়ে বাড়িয়ে দিলাম দক্ষিণ হাত,আমায় তবু চাইতে হল একটু নদী। জল দাও না চণ্ডালিকা! পুরুষ হলেও হতে পারো।আমার ভিতর পোড়খাওয়া এক সন্ন্যাসিনী  ঢকঢকিয়ে নদী খাচ্ছে বুঝতে পারো? অনুভবে? অনুমানে?
এক একটা গাছ এক এক ঘ্রাণের অন্যপুরুষ। পরপুরুষ আর অপরপুরুষ বিতান ছুঁয়ে উষ্ণ স্রবণ ঋতু মাখলো ভর দুপুরে। হরতুকি ঘ্রাণ। হাসনুহানায়। নাগিন বীণেও। ঘ্রাণ খাচ্ছি। ঘ্রাণ থেকে গান…..
পাল্সরেট -এ কার  আমাপা স্রোত ধুকপুকানি নিদেন হাঁকা বদ্দ্যি ডাকে। সায়ানাইড আর নীলবর্ণ কাচের চুড়ির গল্প শোনান রবি ঠাকুর, শশীশেখর কণকচাঁপা বেঁচে ওঠো,  আবার বাঁচো কঙ্কাবতী ঋদ্ধিমতী। কাউকে আমি দোষ দেবো না। কোপাই এখন দূষণক্লিষ্ট।  আমার সঙ্গে কেউ ছিল না সপ্তপদী হাঁটতে চাওয়ার। সাতপর্ণা প্রতিজ্ঞাত, দুরদুর বুক আমলকি বন আমলকি বোন, সব বোনেরাই মগ্ন ছিল। তোমার মাঝে আমার মাঝে এমনই এক প্রেমের নদীর কুলুকুলু গ্রাফিকচিত্র, কোরিওগ্রাফিক কসমোফিলিং, যাহাই থাকুক নদীই ছিল নিরবধি নীর ও বোধি। ভালোবাসলে ভালো ভাসলে কোপাই আবার দুষ্ট মুছে সৃষ্ট  হবে। হৃদস্পন্দে আলফাবেটিক রাইটোমিটার জেলকালি পেন কাব্যি লিখবে।
ক্যানভাসে রঙ আঙুলখেলায় নির্যাসে থই রঙিল অথৈ ডুবলে আঙুল জল থৈথৈ বৃন্ত নাভি নিম্নবিন্দু এরাই ছিল আমার সঙ্গে আখতারি বাঈ ঠুংরিয়ানায়। লগ্ গি মারো….লগ্ গি মারো….. ঠুংরিয়ানায়….বিলম্বিত  বিড়ম্বনায় সতর্ক শাঁখ পু মিলাচ্ছে…. ধ্বনন ধ্বনন শনন শনন….. তুরীয় নদী দাদরা তালে দ্রুত্খেয়ালে…. তারানা বোল্…  বোল তারানা… তুম্ না নানা… তুম্ না নানা…
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।